হাসপাতালের পথে আহত বিজেপি কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট শেষেও মিটল না অশান্তি। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় বিজেপির দুই বুথ এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আমডাঙা এলাকাটি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
ভোটের সময় গোলমাল দেখে অভ্যস্ত আমডাঙা। ২০১৮ সালের ভোট পরবর্তী হিংসায় এক রাতে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। পরে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, ভোট শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির দুই বুথ এজেন্ট। তাঁদের ‘ডিউটি’ ছিল আমডাঙার মরিচা পঞ্চায়েতের কুন্দপাড়া গ্রামের ১২ নম্বর বুথে। আক্রান্ত বিজেপির বুথ এজেন্টদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাকিবুল্লা লোকজন নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। বিজেপির দাবি, ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারেও বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ দেড় লক্ষাধিক ভোটে জিততে চলেছেন, এটা বুঝতে পেরেই হিংসা করছে তৃণমূল। অভিযোগ, বাকিবুল্লার লোকজন মেরে বিজেপির এক বুথ এজেন্টের হাত ভেঙে দেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাকিবুল্লা অবশ্য মারধরের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। সব দলের এজেন্ট ছিলেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। তার পর সবাই বাড়ি ফিরেছি। ভোট মিটে গেলে আর মারধর করা হবে কেন? মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’
ভোটের সময় অশান্তির ঘটনা অবশ্য আমডাঙায় নতুন নয়। ভোট পরবর্তী হিংসারও সাক্ষী থেকেছে এই এলাকা। তাই এ বার ভোট মিটতেই আবার গোলমালের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের অনেকে। আতঙ্ক যে অমূলক নয়, তার উদাহরণও আছে একাধিক। বিগত কয়েক বছরে ভোট এবং ভোট পরবর্তী হিংসায় রক্ত ঝরেছে আমডাঙায়। কখনও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে গুলি-বোমাবাজিতে মৃত্যু, কখনও ভোটের পরের দিন বোমায় উড়ে গিয়েছে বিরোধী দলের কর্মীর হাত। এ বারও কি তারই পুনরাবৃত্তি শুরু হল? উত্তর খুঁজছে সন্ত্রস্ত আমডাঙা।