বাঁ দিক থেকে, রাহুল, বিশাল এবং সনিয়া। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশের সময়ও মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব! সাংলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতার পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল প্রকাশবাপু পাটিল দিল্লি দিয়ে সাক্ষাৎ করলেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে। জানালেন, সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সাংসদ হিসাবে সরাসরি দলে শামিল হতে না পারলেও তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকবেন।
মহারাষ্ট্রে আসন সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা চলছিল কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপির মধ্যে। ভিওয়াণ্ডি এবং সাংলি আসনের জন্য মহাবিকাশ আঘাডীর অন্দরে টানাপড়েন তীব্র হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই আসন দু’টির দাবি থেকে সরে এসেছিল কংগ্রেস।
অতীতে এই সাংলি লোকসভা আসন ছিল কংগ্রেসের গড়। ১৯৬২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিশালের ঠাকুরদা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসন্তদাদা পাটিল। বিশালের বাবা প্রকাশবাপু এবং দাদা প্রতীকও সাংলি থেকে সাংসদ হয়েছেন একাধিক বার।
সাংলিতেও গত দুই লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন বিজেপির সঞ্জয়কাকা পাটিল। তাঁকে তৃতীয় বারও প্রার্থী করেছিল বিজেপি। অন্য দিকে, বিরোধী জোটের তরফে উদ্ধবসেনার প্রার্থী হয়েছিলেন চন্দ্রহর সুভাষ পাঠিল। ভোটের ফল বলছে, বিশাল লক্ষাধিক ভোটে বিজেপির সঞ্জয়কাকাকে হারিয়েছেন। উদ্ধবসেনার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সাংলিতে।