(বাঁ দিক থেকে) ইউসুফ, এয়েইসি এবং আফজল। — ফাইল চিত্র।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের টিকিটে মোট ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে জয়ী হয়েছেন ২৪ জন। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান, ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র যুবনেত্রী ইকরা চৌধরি এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য। রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মৃত প্রাক্তন বিধায়ক মুখতার আনসারির দাদা আফজলও।
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ বহরমপুর লোকসভায় পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারিয়েছেন। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে ওয়েইসি বিজেপির মাধবী লতাকে হারিয়ে এই নিয়ে টানা পাঁচ বার গেলেন সংসদের নিম্নকক্ষে। উত্তরপ্রদেশের কৈরানা থেকে জয়ী হয়েছেন ২৯ বছরের ইকরা। তিনি বিজেপির প্রদীপ কুমারকে হারিয়েছেন। গাজিপুরে এসপি প্রার্থী আফজল লক্ষাধিক ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশেরই সহারনপুরে জিতেছেন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ইমরান মাসুদ। এরই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা ভোটে হেরেছেন। বারামুলায় ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা এবং অনন্তনাগ-রাজৌরিতে পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি। ওমরকে হারিয়েছেন, নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার রশিদ। মেহবুবাকে হারিয়েছেন ওমরের দলের নেতা মিঞা আলতাফ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখে এ বার জয়ী হয়েছেন শিয়া মুসলিম জনগোষ্ঠীর নেতা মহম্মদ হানিফা জান।
কংগ্রেসের টিকিটে অসমের ধুবড়ি আসনে জিতেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাকিবুল হোসেন। বিহারের কাটিহারে প্রবীণ নেতা তারিখ আনোয়ার। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জয়ী মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৬। এর মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূলের চার জন করে প্রার্থী ছিলেন। এসপি এবং বিএসপির তিন জন করে। সিপিএম এবং এনসিপির এক জন করে।