মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র কর্মসূচিতে মোদী। — ফাইল চিত্র।
ভোটঘোষণার আগেই নাকি শঙ্কায় ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা আর অজিত পওয়ারের উপর ভরসা রাখতে না পেরে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র প্রধান রাজ ঠাকরকে দিল্লি ডেকে এনে নিঃশর্ত সমর্থন আদায় করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটের ফল বলছে, বিজেপি নেতৃত্বের কোনও চেষ্টাই কাজে আসেনি। বরং পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে যে এলাকায় বিজেপি এবং সহযোগী দলগুলির প্রার্থীদের প্রচারে গিয়েছিলেন, সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে এনডিএ-র।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বার ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রে এনডিএ প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন মোদী। তার মধ্যে ১৫টিতেই এনডিএ-র প্রার্থীরা হেরেছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারে দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানকার যে এলাকায় তিনি রোড-শো করেন, সেই মুম্বই উত্তর-পূর্বে হেরেছেন বিজেপির মিহির কোটেচা। সামগ্রিক ভাবে মুম্বইয়ের ছ’টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ জিতেছে দু’টিতে। এর মধ্যে মুম্বই উত্তর-পশ্চিমে শিন্ডেসেনার রবীন্দ্র ওয়ালকের জয়ের ব্যবধান মাত্র ৪৮টি ভোট!
নাসিক, রামটেক, নান্দেড়, ওয়ার্ধা, চন্দ্রপুর, পর্ভনী, শোলাপুর, কোলহাপুর, ওসমানাবাদ (ধারাশিব), মাধা, লাতুর, বীড়, আহমদনগর, নন্দুরবাড়, ডিন্ডোরির মতো আসনে প্রচারে গিয়েও এনডিএ প্রার্থীদের এ বার জেতাতে পারেননি মোদী। তবে মোদীর প্রচারসূচির তালিকায় থাকা পুণে, সাতারা, কল্যাণের মতো লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা।
মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাডী তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ পেয়েছে ৩০টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ১৩টি, উদ্ধবের শিবসেনা ন’টি এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি আটটিতে জিতেছে। অন্য দিকে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাদ্যুতি জোট (বিজেপি, অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি, একনাথ শিন্ডেপন্থী শিবসেনা) জিতেছে ১৭টি আসনে। বিজেপি ন’টি, শিন্ডেসেনা সাতটি অজিতপন্থী এনসিপি পেয়েছে মাত্র একটি আসন।একটি পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিশাল পাটিল।