Lok Sabha Election 2024

সন্দেশখালির এসডিপিওকে দুপুরে সরিয়েছিল কমিশন, বিকেলে নতুন নিয়োগ, সুপার বদল সুন্দরবনেও

মিনাখাঁর এসডিপিও করা হয়েছে অমিতাভ কোনার এবং সুন্দরবনের পুলিশ সুপার করা হয়েছে সন্দীপ কাররাকে। রহড়া থানার আইসিকেও সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১৮:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাওকে মঙ্গলবার দুপুরে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিকেলে সেই দুই জায়গায় নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হল কমিশনের তরফে। মিনাখাঁর এসডিপিও করা হয়েছে অমিতাভ কোনার এবং সুন্দরবনের পুলিশ সুপার করা হয়েছে সন্দীপ কাররাকে। রহড়া থানার আইসিকেও সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। এই থানায় নতুন আইসি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ঋকবেদ সাহাকে। ঘটনাচক্রে, এই সমস্ত এলাকাতেই আগামী শনিবার ভোটগ্রহণ।

Advertisement

মিনাখাঁ মহকুমার অধীনেই রয়েছে সন্দেশখালি। বর্তমানে সন্দেশখালি রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম আলোচ্য বিষয়। সেখানকার এসডিপিও-র বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়িয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি আমিনুলের বিরুদ্ধে ‘তৃণমূলের হয়ে’ কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন।

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগে পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের এক এসপি-সহ চার পুলিশ অফিসারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মধ্যে তিন জন ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। কাঁথির এসডিপিও পদ থেকে সরানো হয়েছিল দিবাকর দাসকে। ওই জেলার পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুন্ডুকে নির্বাচনের কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। সঙ্গে কমিশন ভূপতিনগর থানার ওসির কাজেও সন্তুষ্ট ছিল না। তাই ওই থানার ওসিকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে ধৃতিমান সরকার ও পুরুলিয়ায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পুলিশ সুপার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দেওয়ার পর নিজের এক্স হ্যান্ডলে গর্জে উঠেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের সময়ে বরাবরই কমিশন প্রশাসনে ঝাঁকুনি দিতে এ হেন বদল করে। তবে বিবিধ ঘটনায় সেই বদল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবেও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হয়ে ওঠে। সপ্তম দফার ভোটের আগেও সেই পদক্ষেপ করল কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement