প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার। ছবি: সংগৃহীত।
মোদী বললেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে সুশাসনের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলায় সুশাসন দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। দুরবিনও নয়, মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলায় মাফিয়াদের জমি দেওয়া হচ্ছে। বাংলার উন্নয়নে তৃণমূলই বাধা দিচ্ছে। আমি বলব, এই নির্বাচনে কেন্দ্রের কাজ দেখেই পদ্মে ভোট দিন।’’
তৃণমূল অসাংবিধানিক ভাবে ৭৭ মুসলিম জাতিকে ওবিসি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হাই কোর্ট যখন নির্দেশ দিল, তখন এদের সমস্ত কাজে জল পড়ল। এখন হাই কোর্টের নির্দেশ ওদের মানতেই হবে। ষড়যন্ত্রে মুখ থুবড়ে পড়েছে ওদের। তবুও মুসলমান ভোটারদের খুশি করার জন্য ওরা বলছে, হাই কোর্টের নির্দেশ মানবে না।
মোদী বললেন, ‘‘এখানে সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটে। যে তৃণমূল শৃঙ্খলারক্ষার মতো প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে পারে না, তাদের শাস্তি দেওয়া জরুরি। তৃণমূলের রাজনীতি রক্তপাতের রাজনীতি। তৃণমূল দুর্নীতির রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূল শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে।’’
মোদী বললেন, ‘‘সিপিএম এবং তৃণমূল, নামেই দু’টি পার্টি। ওদের দোকান আলাদা, কিন্তু ওরা যা বলে, ওরা যা করে সব এক। দোকান আলাদা হলেও পণ্য এক।’’
মোদী বললেন, ‘‘বিকশিত ভারত বিকশিত বাংলা ছাড়া সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান’। অথচ দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল সিপিএম এবং তৃণমূল বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছে।’’
মোদী বললেন, ‘‘বিজেপি আপনাদের আকাঙ্ক্ষাকে বোঝে। তাই রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য অনেক বেশি খরচ করছে। পরিবহণে অনেক বেশি খরচ করছে। কলকাতা মেট্রোর অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে ইলেকট্রিক বাসও চলতে দেখবেন আপনারা। আর তাতে প্রচুর চাকরিও হবে।’’
মোদী বললেন, ‘‘বাংলায় আরও বেশি সংখ্যায় পদ্ম ফুটবে ৪ জুন। কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না। কারণ সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলের হাত শক্ত করা।’’ মোদী বললেন, ‘‘আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন্দ্রে কার সরকার তৈরি হবে। যে কেউ বলবে, মোদী সরকার গড়বে। তা-ই যদি হয়, তবে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন কেন? মুখ্যমন্ত্রী ম্যাডাম তো ইতিমধ্যেই বলেছেন, কেন্দ্রে তিনি বিরোধী জোটকে সমর্থন করবেন। ’’
মোদী বললেন, ‘‘যাঁরা আমার ছবি এনেছেন, তাঁরা ছবির পিছনে নিজেদের ঠিকানা লিখে দিন। তাঁরা আমার কাছ থেকে নিশ্চয়ই চিঠি পাবেন।’’
মোদী বললেন, ‘‘বাংলার বুদ্ধিমান মানুষ জানেন দেশের সরকার ‘দমদার’ হওয়া উচিত। আপনারা দেখে নেবেন, ৪ জুন নতুন ইতিহাস রচনা করা হবে।’’
বারুইপুরের মঞ্চে মোদী বক্তৃতা শুরু করলেন মোদী। বাংলায় বললেন, ‘‘কেমন আছেন যাদবপুর এবং দক্ষিণ কলকাতাবাসী?’’ বললেন, ‘‘ঝড়ের পরের দিনই এত বড় সভার আয়োজন করা সহজ নয়।’’
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এবং যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করছেন মোদী। আগামী ১ জুন যাদবপুর এবং দক্ষিণ কলকাতায় ভোট।