প্রতীকী ছবি।
প্রথম দফায় তিন কেন্দ্রের মধ্যে কোচবিহার লোকসভা আসনের উপরই বাড়তি নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কোচবিহার থেকে কয়েকটি অশান্তির খবর আসছে। তাই ওই কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোচবিহার নিয়ে শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার দিনহাটার জনসভা থেকে রাজ্যের মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রবলেম (সমস্যা) হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’’ এ বার কমিশনও জানিয়ে দিল তারা কোচবিহারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রথম দফায় ভোটে অশান্তি এড়াতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যের তিন আসন— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, তিনটি লোকসভা আসনের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোচবিহারে তারা যে বাড়তি নজরদারি চালাবে তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।
প্রথম দফার ভোটে কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশও। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে কমিশন। বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের অন্তত তিন দিন আগে পুলিশ পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রগুলিতে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার আগেই রাজ্যে আরও ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। বর্তমানে এ রাজ্যে ভোটের জন্য রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্যে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৯৯ কোম্পানি। ২৬ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ।
ইতিমধ্যেই তিন দফায় মোট ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। জেলায় জেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে তারা। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে কমিশন। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জওয়ানদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকেও।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন জওয়ানেরা। এমনকি, কোথাও কোনও অসুবিধা হলে তাঁদের জানাতে বলছেন। ১ মার্চ থেকে রাজ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিল আরও ৫০ বাহিনী। ১ এপ্রিলের পর আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী আসে রাজ্যে।