Lok Sabha Election 2024

দেখা মিলল মনোনয়ন বাতিল হওয়া সেই কংগ্রেস ‘প্রার্থী’র! বদলা নিলেন না কি? উত্তর মিলল না

নীলেশের দাবি, ২০১৭ সাল থেকে কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের তরফে সুরাতের কামরেজ বিধানসভা আসনের জন্য তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শেষমুহূর্তে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১১:৫২
Share:

কংগ্রেস নেতা নীলেশ কুম্ভনি। ছবি: সংগৃহীত।

কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ২০১৭ সাল থেকে করে আসছে। ২০ দিন পর প্রকাশ্যে এসে দাবি সুরাতের ‘নিখোঁজ’ কংগ্রেস নেতা নীলেশ কুম্ভনির। নীলেশকে দক্ষিণ গুজরাতের সুরাত কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু নীলেশের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে ওই আসনের বাকি আট বিরোধী প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যের সুরাত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালের। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ ছিলেন নীলেশ। খোঁজ মিলল ২০ দিন পরে। এর মধ্যে নীলেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। তবে শনিবার প্রকাশ্যে এসে দলের বিরুদ্ধে পাল্টা বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

Advertisement

নীলেশের দাবি, ২০১৭ সাল থেকে কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের তরফে সুরাতের কামরেজ বিধানসভা আসনের জন্য তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শেষমুহূর্তে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। কংগ্রেসই প্রথম তাঁর প্রতি অন্যায় করেছিল বলেও দাবি করেছেন নীলেশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গুজরাতের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শক্তিসিংহ গোহিল এবং দলের রাজকোট কেন্দ্রের লোকসভা প্রার্থী পরেশ ধনানীর প্রতি শ্রদ্ধার কারণেই তিনি এত দিন নীরব ছিলেন।

নীলেশ বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতারা আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন। তবে, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসই প্রথম আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। সুরাতের কামরেজ বিধানসভা আসনের জন্য আমার টিকিট শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছিল। কংগ্রেসই প্রথম ভুল করেছিল, আমি না।’’

Advertisement

সুরাতে দলের নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নীলেশ আরও বলেন, ‘‘আমি এটা করতে চাইনি। কিন্তু সুরাতে পাঁচ জন স্বঘোষিত নেতার দ্বারা দল পরিচালিত হচ্ছে। তারা কাজও করেও না, অন্যদের করতেও দেয় না। আমার কর্মী-সমর্থকেরা বিরক্ত। আম আদমি পার্টি (আপ) এবং কংগ্রেস, বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অংশ। কিন্তু আমি আপের সঙ্গে প্রচারে বেরোলে আমাকে বাধা দেওয়া হত।’’

তিন জন প্রস্তাবক নীলেশের হলফনামায় স্বাক্ষর না করার কারণে ২১ এপ্রিল তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। ২০১৭ সালের ‘বদলা’ নিতেই কি লোকসভায় এত কিছু কাণ্ড? তার কোনও জবাব দেননি নীলেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement