নেহা শর্মা। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিহারের ভাগলপুর আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলিউড এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী তথা মডেল নেহা শর্মা। শনিবার নেহার বাবা তথা ভাগলপুরের কংগ্রেস বিধায়ক অজয় শর্মা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অজয় শনিবার বলেন, ‘‘বিহারে মহাগঠবন্ধনের শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রফা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ভাগলপুর লোকসভা আসনটি কংগ্রেসের পাওয়া উচিত। কারণ এটি আমাদের শক্ত ঘাঁটি। যদি আমরা এই আসনটি পাই, তবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তা দলের হাই কমান্ড ঠিক করবে। যদি দল আমাকে প্রশ্ন করে বলব, আমার মেয়ে নেহা শর্মা এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’’
‘ক্রুক’, ‘ইয়াঙ্গিস্তান’, ‘তুম বিন ২’-এর মতো সিনেমার নায়িকা নেহা, ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘তানাজি’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। তেলুগু চলচ্চিত্রেরও পরিচিত মুখ তিনি। পোশাক-শৌখিনীদের দুনিয়াতেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। তাঁর বোন আয়েশা সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় কত্থক নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষিত নেহা লন্ডনের ‘পাইনঅ্যাপ্ল ডান্স স্টুডিয়ো’-র প্রাক্তন ছাত্রী।
২০০৭ সালে দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালক পুরী জগন্নাথের হাত ধরে ‘চিরুথা’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ নেহার। এই ছবিতে চিরঞ্জীবী-পুত্র রাম চরণের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর পর ২০০৯ সালে ‘কুরুদ্দু’ নামে একটি তেলুগু ছবিতেও নেহা অভিনয় করেন। নেহার বলিউডে আত্মপ্রকাশ ২০১০ সালে। অভিনেতা ইমরান হাসমির বিপরীতে ‘ক্রুক’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবি বক্স অফিসে সাফল্যও পেয়েছিল।
নেহার বাবা অজিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ২০১৪-র উপনির্বাচন থেকে টানা তিন বার ভাগলপুর বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন তিনি। ভাগলপুর লোকসভা আসনে অবশ্য ১৯৮৪-র পরে কখনও জিততে পারেনি কংগ্রেস। ইউপিএ জমানা থেকে বিহারে তাদের সহযোগী দল আরজেডি ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। এ বার ভাগলপুর আসনটির জন্য লালুপ্রসাদের দলের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। লালু-পুত্র তেজস্বী শনিবার বলেন, ‘‘আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই আমাদের জোটের আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’