Himachal Pradesh Crisis

হিমাচল প্রদেশে বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে তিন নির্দলও যোগ দিলেন বিজেপিতে

দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ায় স্পিকার বিদ্রোহী ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৭
Share:

হিমাচল প্রদেশে বিজেপিতে যোগদান। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

হিমাচল প্রদেশে পদ খারিজ হওয়া ছ’জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের পাশাপাশি তিন নির্দল বিধায়কও শনিবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। শিমলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপস্থিতিতে হয় এই দলবদল-পর্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের পাশাপাশি তিন নির্দলও ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনের মুখোমুখি হবেন।

Advertisement

বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের তরফে হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের পরেই গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানায় আগামী ৭ মে ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।

উপনির্বাচনে বিজেপি ওই বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক— রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)-কে প্রার্থী করবে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি, তিন নির্দল— আশিস শর্মা (হামিরপুর), হোশিয়ার সিংহ (দেহরা) এবং কৃষ্ণলাল ঠাকুর (নালাগড়) শনিবার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

Advertisement

দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ কংগ্রেসের বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন।

তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ‘সুখু সরকারের সমর্থক’ তিন নির্দলও। ক্রস ভোটিংয়ের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। ঘটনাচক্রে, ওই বিধায়কদের অধিকাংশই পদত্যাগী মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ এবং তাঁর মা তথা হিমাচল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।

রাজ্যসভা ভোটের পরেই সুখুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। প্রতিভা এবং বিক্রমাদিত্যও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে ‘খবর’। ৬৮ সদস্যের হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৫। ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজের ফলে এখন রইলেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নামল ৩৩-এ। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রইলেন ৩৪ বিধায়ক। বিজেপির ২৫। অর্থাৎ তিন নির্দলকে পাশে পেলেও কংগ্রেসকে ছুঁতে পারার কথা নয় বিজেপির। যদিও ইতিমধ্যেই বিক্রমাদিত্য-সহ আরও কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগাযোগে’র অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement