সংগৃহীত চিত্র।
১০ শতাংশ সংরক্ষিত আসনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় ১,৮৭২ পার্শ্ব শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এসএসসি সূত্রের খবর, আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর ফের এই তালিকা থেকে প্রার্থীদের নথি যাচাই করার পর তাঁদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হবে। তার পর হবে কাউন্সেলিং।
এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘একেবারে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা পরবর্তী পর্যায়ে সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’’
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য, প্রথমে প্রার্থীদের বয়স ও যোগ্যতা যাচাই করে এই প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের তরফে শূন্যপদের তথ্য মেলার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিধি অনুযায়ী, শূন্য আসন ১০টি থাকলে ডাকা হবে ১৪ জন প্রার্থীকে। ১৫টি ফাঁকা আসন থাকলে ২১ জনকে ডাকা হয়।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এমনিতেই প্রায় ন’বছর অতিবাহিত হতে চলল, কিন্ত মামলার জটে এখনও পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগের ব্যাপারে টালবাহানা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকের চাকরির বয়স চলে গিয়েছে। তাঁদের কী ভাবে প্যানেলের মধ্যে নিয়ে আসা যায় সে ব্যাপারে এসএসসিকে উদ্যোগী হতে হবে। না হলে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এক রকম প্রতারণা করা হবে।”
মঙ্গলবার শেষ হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং। সেখানে মেধাতালিকায় থাকা ৮,৭৪৯ জনের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। সুপারিশপত্র নিয়েছেন ৬,৬৮০ জন। কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত এবং সেখানে উপস্থিত থেকেও সুপারিশপত্র নিতে অস্বীকার করেছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২,২৬৯ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিতির হার প্রায় ২৪ শতাংশ।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ায় এবং এসএসসি প্যারাটিচারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করে নিয়োগের ব্যবস্থা করুক। দীর্ঘ দিন থেকে নিয়োগ না হওয়ায় বিরাট সংখ্যক প্যারাটিচার বঞ্চিত রয়েছেন। এই বঞ্চনা যেন দীর্ঘায়িত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।”