‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাউত, জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের। ছবি: সংগৃহীত।
বিস্তর টালবাহানার পর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনা রানাউতের প্রথম পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। পর্দায় ভেসে উঠবেন ভারতের এক বিশেষ সময়ের রাজনৈতিক নেতারা। তাঁদের কাজকর্ম, বিতর্ক, দেশের পরিস্থিতি— সবই দেখা যাবে রুপোলি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আগামী ১৭ জানুয়ারি ছবিমুক্তি ঘিরে উত্তেজনায় ফুটছেন কঙ্গনা। পরিচালনা, প্রযোজনার পাশাপাশি এ ছবির এক মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী নিজে। এক বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থার প্রক্ষাপটে নির্মিত এ ছবির নায়ক অনুপম খের, এমনই দাবি করলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ছবিতে অনুপম খেরকে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি তিনি এ ছবিতে কাজ করতে অস্বীকার করতেন, তা হলে আমি ছবিটা বানাতেই পারতাম না। পর্দায় ওঁর ব্যক্তিত্ব দেখুন... সততার প্রকাশ রয়েছে ওঁর মুখে। আর কেউ জয়প্রকাশ নারায়ণের চরিত্র এত ভাল ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না।”
তবে শুধু কঙ্গনাই নয়। উল্টো দিক থেকেও এসেছে প্রশংসা। স্বয়ং অনুপম খের সাংসদ-অভিনেত্রীকে ‘সেরা পরিচালকদের একজন’ বলে চিহ্নিত করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বিষয়ের উপর নির্মিত ছবিগুলির মধ্যে এটিই সেরা কাজ হতে চলেছে। আর কঙ্গনা সে কাজটি অনায়াস ভঙ্গিতে সেরে ফেলেছেন। ‘ইমার্জেন্সি’র নেপথ্যে রয়েছে ওঁর কঠোর পরিশ্রম। পরিচালনার পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করা মুখের কথা নয়, কিন্তু কঙ্গনা সেটাই করে দেখিয়েছেন। আমি যত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁদের মধ্য অন্যতম সেরা কঙ্গনা।”
ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, “যখন ইমার্জেন্সি ঘোষণা হল, তখন আমি ‘দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’য় পড়াশোনা করি। ফলে আমাকে আলাদা করে অনেক গবেষণা করতে হয়নি এই ছবিটির জন্য। বরং সকলের হয়ে কঙ্গনাই সেই গবেষণার কাজটি করেছেন।”
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭— একুশ মাসের জরুরি অবস্থার উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে এ ছবি। অভিনয় করেছেন, শ্রেয়স তলপড়ে, মিলিন্দ সোমান, মহিমা চৌধুরী, সতীশ কৌশিক প্রমুখ।