সংগৃহীত চিত্র।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ১০ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অবসর বা স্বেচ্ছাবসর নিলে, তাঁদের পেনশন পেতে গেলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। অভিযোগ, আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করা হত না শিক্ষা দফতরের তরফে। এ বার সেই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শিক্ষকদের পেনশন পেতে গেলে আইন অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি তার কম কাজ করে থাকেন তা হলে শিক্ষা দফতর এই ক্ষমতার প্রয়োগ করে পেনশন দিতে পারে। কিন্তু সংস্থান থাকা সত্ত্বেও তা মানা হত না। ফলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হত। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ধরনের কোনও জটিলতা সামনে এলে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের অবসরকালীন ভাতা বা পেনশনের অনুমোদন দেবে।”
দীর্ঘ দিন ধরেই পেনশনের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের নিজস্ব বিধি রয়েছে। সেখানে ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাকরির কথা লেখা থাকলেও বলা আছে কোনও ব্যক্তি যদি ন’বছর ছ’মাস বা তার বেশিদিন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চাকরি করে থাকেন তা হলে ছ’মাসের যে ঘাটতি রয়েছে তা মার্জনা করে তাকে পেনশন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিগত দিনে দেখা গিয়েছে এই ধরনের সমস্যায় পড়ে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “দেরিতে হলেও সরকারের টনক নড়েছে। প্রাপ্য অধিকার দিতে সরকার আইন না মেনেই শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থা করত। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”
শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য আদালতের কাছে বারবার ধাক্কা খেয়ে সরকার বাধ্য হয়েছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য বারবার শিক্ষক মহলে সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছিল বলে মনে করছেন বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে, কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “এটি খুব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, এতে অনেক শিক্ষক শিক্ষাকর্মী যাঁদের সার্ভিসের সময়কাল খুব কম তাঁরা উপকৃত হবেন এবং কয়েক মাস কমের জন্য অবসরকালীন ভাতার সুযোগ হারাবেন না।”