সংগৃহীত চিত্র।
২০২৫ সাল থেকে পাল্টে যাচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের(ডব্লিউবিসিএস) পরীক্ষার ধরন। খোললনচে বদলে যাবে প্রশ্নপত্র। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
২০২৪ সালে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। পুরনো সিলেবাসেই হবে প্রিলিমিনারি ও মেনসের পরীক্ষা। তবে ২০২৫ সাল থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ধরন বদলে যাবে। তার বদলে পরীক্ষার্থীদের সবিস্তার লিখতে হবে অনেকটা ইউপিএসসি পরীক্ষার ধাঁচে।
সূত্রের খবর, ২০২৫ সাল থেকে দু’টি পেপার থাকবে। জিএস বা জেনারেল স্টাডি পেপার এবং জিএস পেপার টু। প্রতিটি পেপারের পূর্ণমান হবে ২০০। প্রতি ক্ষেত্রে সময়সীমা দু’ঘণ্টা।
জিএস পেপার ওয়ান ‘এ’ থাকবে জেনারেল সায়েন্স, ন্যাশনাল ইন্টারন্যাশনাল ইম্পর্টেন্স, ভারতের ইতিহাস, ইংরেজি কম্পোজিশন, ইন্ডিয়ান পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মুভমেন্ট, ভূগোল এবং জেনারেল মেন্টাল এবিলিটি-র মতো বিষয়।
অন্য দিকে, জিএস পেপার টু-তে পড়ুয়াদের ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। এর মধ্যে থাকছে ইন্টার পার্সোনাল স্কিল, ডিসিশন মেকিং অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং, লজিক্যালিং অ্যান্ড এনালিটিকাল এবিলিটি, মাধ্যমিক বা তার সমতুল স্তরের অঙ্ক।
মেনস এর সিলেবাসে ২০২৫ সাল থেকে থাকবে দু’টি ভাগ। পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ হতে হবে একটি ধাপ। অপর ভাগের নম্বর যোগ হবে মেধাতালিকায়। পেপারে বা প্রথম ভাগের পূর্ণমান হচ্ছে ৩০০। সময়সীমা তিন ঘণ্টা। পেপার ‘বি’ বা দ্বিতীয় ভাগের ক্ষেত্রেও সময় থাকবে তিন ঘণ্টা। এ ছাড়াও আরও আটটি পেপার রয়েছে, যার সবক'টাই হবে বর্ণনামূলক।
ডব্লিউবিসিএস গ্রুপ ‘এ’ বা 'বি'-র জন্য মেনস-এর পেপার ওয়ান থেকে আটটি পেপারে পরীক্ষা দিতে হবে। সব মিলিয়ে মেনসের এর পূর্ণমান হবে ২০০০। ডব্লিউবিসিএস গ্রুপ ‘এ’ বা গ্রুপ ‘বি’-র জন্য পেপার ওয়ান থেকে পেপার সিক্স পর্যন্ত এই পরীক্ষা। সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে অপশনাল পরীক্ষাও দিতে হবে না।
পেপার ‘এ’-তে থাকবে নেপালি অথবা বাংলা। এর মধ্যে থাকবে রিপোর্ট লেখা প্রেসি, কম্পোজিশন, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ অথবা ইংরেজি থেকে নেপালি অনুবাদ, রচনা ও চিঠি লেখা। যাতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ পেতে হবে।
পেপার ‘বি’ হল শুধুমাত্র ইংরেজি। এই পেপারে পরীক্ষা হবে মাধ্যমিক অথবা সমতুল্য পরীক্ষার মতোই। শব্দ ভাণ্ডার যাচাই, রচনা অথবা রিপোর্ট লেখা, প্রেসি থাকবে এতে। ন্যূনতম ৩০ শতাংশ পাশ করার জন্য পেতে হবে।
পেপার ওয়ানে থাকছে ইংরেজি রচনা এবং কম্পোজিশন, পেপার টু-তে বাংলা কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি। পেপার থ্রি-তে থাকছে ইতিহাস এবং ভূগোল। পেপার ফোর-এ থাকছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, জিকে, জেনারেল সায়েন্স অ্যান্ড টেক ও কম্পিউটার। পেপার ফাইভে থাকছে ইন্ডিয়ান ইকনমি অ্যান্ড পলিসি, পেপারে সিক্সে থাকছে অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড রিজনিং, পেপার ৭ এবং ৮ হল অপশনাল দু’টি পেপার।
পার্সোনাল টেস্ট এর ক্ষেত্রেও গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি এর পূর্ণমান থাকছে ২০০। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে মান থাকছে ১৫০ এবং ১০০। গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি দুটি মিলিয়ে ২২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে ১০৬৫০ এবং গ্রুপ ডি এর ক্ষেত্রে ১৬০০ পূর্ণমানের উপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।