Personal Loan

সস্তায় ব্যক্তিগত ঋণ! সুদের হার সবচেয়ে কম রাখতে মানতে হবে কোন নিয়ম?

ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোনে বেশি হারে সুদ গুণতে হয় গ্রাহককে। তিনটি উপায়ে সুদের সর্বনিম্ন হারে ব্যক্তিগত ঋণ পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

হঠাৎ করে আসা আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যক্তিগত ঋণ (পার্সোনাল লোন) নিয়ে থাকেন। কিন্তু এতে সাধারণ ভাবে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয় চড়া সুদ। ব্যক্তিগত ঋণের সুবিধা হল, খুব কম সময়ে এটি পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয়ত, এই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি নথিপত্রের প্রয়োজন হয় না। সর্বনিম্ন সুদের হারে ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সেটা তুলে ধরা হল।

Advertisement

ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার কম হওয়ার প্রথম শর্ত হল আবেদনকারীর উচ্চ ক্রেডিট স্কোর। আর্থিক বিশ্লেষকেরা এটি ভাল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্রেডিট স্কোরে কোনও ত্রুটি থাকলে দ্রুত তা সংশোধন করতে হবে। এর জন্য ক্রেডিট রেটিং ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক।

ব্যাঙ্ক বা নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানিগুলির (এনবিএফসি) নিয়ম অনুযায়ী, ঋণ আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁদের ক্রেডিট স্কোর বেশি, তাঁরাই সাধারণত কম সুদে ঋণ পেয়ে থাকেন। এতে ৩০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত রেটিং দেওয়া হয়ে থাকে। আবেদনকারীর ঋণ পরিশোধের ইতিহাস ও টাকা ফেরত দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা রয়েছে কি না, তার উপর নির্ভর করে ক্রেডিট স্কোর তৈরি করা হয়।

Advertisement

ব্যাঙ্কিং আইনে, ক্রেডিট স্কোর ৭৫০-র উপরে থাকলে, তাকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর এর নীচে হলে সুদের হারে ছাড় পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সূচকটি যত কম হবে, ততই আবেদনকারীকে অবিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করবে ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি। ক্রেডিট স্কোর ৬৫০-র নীচে নেমে গেলে তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ঋণ না-মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক ঋণের আবেদন না-মঞ্জুর করে থাকে। তবে খারাপ ক্রেডিট স্কোরে এনবিএফসি থেকে ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানেও উচ্চ সুদের হারে তা পাবেন আবেদনকারী।

ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসিগুলি অনেক সময়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের ‘পূর্বেই অনুমোদিত’ (প্রি-অ্যাপ্রুভড) ঋণের অফার দিয়ে থাকে। এতে সুদের হার বেশি ধার্য করা হয়। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের অফার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

এ ছাড়া যে ব্যক্তি ঋণ নিচ্ছেন, তাঁর পেশার উপরেও সুদের হার নির্ভর করতে পারে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী যদি সরকারি বা নামি কোনও বেসরকারি সংস্থায় চাকরিজীবী হন, তা হলে ব্যক্তিগত ঋণে বেশ কিছু আকর্ষণীয় অফার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। একই নিয়ম ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অন্য দিকে ছোট ব্যবসায়ী বা কম পুঁজির সংস্থায় কর্মরতদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার সাধারণ ভাবে কম করতে রাজি হয় না ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement