আয়করের হার কমানো বা স্তরে বদলের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। —প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে বাজেটে আয়করের হার কমানো বা স্তরে বদলের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। ইক্রার মতে, সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা তুলে দিয়ে বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য সেই পথে হাঁটতে পারে সরকার। তবে, খুব বেশি বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র যতটা কম সম্ভব রাজস্ব ক্ষতি নিশ্চিত করেই এগোবে বলে মনে করা তারা।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাড়তি আয় বলে মানুষের হাতে আর কিছু থাকছে না। তা-ও গ্রামাঞ্চলে আগামী দিনে চাহিদা কিছুটা স্থিতিশীল থাকতে পারে। কিন্তু শহরে সেই পথটা মসৃণ না-ও হতে পারে। জিনিসপত্রের দাম কমলে বরং শহরাঞ্চলেও বিক্রি বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে বাজেটে আয়করের স্তরে ও হারে বদল ঘটিয়ে মূলত শহরের মানুষকে কিছুটা উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।
এই ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীকে দু’টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে বলেই মনে করেন অদিতি। প্রথমত, রাজস্ব ক্ষতি যেন বেশি না হয় এবং দ্বিতীয়ত, বেশি মানুষ যেন করের আওতা থেকে বেরিয়ে না যান। আর সে জন্য প্রয়োজনে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়করে সামান্য বদলের পক্ষেই সওয়াল করেছে ইক্রা। উল্লেখ্য, বর্তমানে পুরনো এবং নতুন— করের এই দুই বিকল্প বেছে নেওয়া যায়। পুরনোটি বেশি কর ছাড় মেলে। নতুনটিতে হাতেগোনা কয়েকটি বাদে কোনও খাতে করছাড় মেলে না।