বিএনপি নেত্রীর অফিসের সামনে কড়া পাহারা। ছবি: এএপি।
বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে আজও বন্দি রাখল বাংলাদেশ পুলিশ। কবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বিরোধী নেত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁকে আটকে রেখেছে পুলিশ। পুলিশ যখন মনে করবে, তাঁর জীবন বিপন্ন নয়, তখন তিনি নিজের বাড়ি যেতে পারবেন। হিংসাত্মক ঘটনা এড়াতে ঢাকার গুলশন এলাকার বিএনপি দফতরে দু’দিন ধরে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে পুলিশ। একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা আনতে পারে সরকার। তবে এই খবরের সত্যতা কেউ স্বীকার করেনি। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শুধু জানান, গত সপ্তাহে খালেদার দলের সমর্থকেরা তিন জনকে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই সূত্রে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের হতে পারে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, খালেদার উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এমন কথা বলা হচ্ছে।
খালেদা-পুত্র তারেক রহমানের একটি বক্তৃতা সম্প্রচার করে সরকারের কোপে পড়েছে একটি বেসরকারি চ্যানেল। তারেকের ওই বক্তৃতা দেখানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই চ্যানেলের কর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপারেটরদের দিয়ে বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় সম্প্রচারও। সরকারি ভাবে বলা হচ্ছে, অশ্লীল ছবি দেখানোর দায়ে ওই চ্যানেল কর্তাকে আটক করা হয়েছে। ওই চ্যানেলেরই এক সিনিয়র সম্পাদক অবশ্য অন্য কথা বলছেন। এক মহিলা প্রায় দু’মাস আগে ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে অশ্লীল ছবি দেখানোর অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ এখন কেন তড়িঘড়ি চ্যানেল কর্তাকে গ্রেফতার করা হল? পুলিশ অবশ্য নীরব।
তবে গত দু’দিনের মতো আজও উত্তপ্ত থাকল বাংলাদেশ। বিএনপির লাগামছাড়া হিংসায় কাল থেকে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের জনজীবন। কালকের হিংসায় চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত ছিল রাজধানী লাগোয়া দেমরা শহরতলি এলাকা। সেখানে শাসক দল আওয়ামি লিগের একটি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধী দল বিএনপি-র সমর্থকেরা। কদমতলি এলাকায় এক আধাসেনা গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁর ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে দিলে জখম হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy