ছবি: রয়টার্স।
দু’দেশের মধ্যে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। তার মধ্যে ক্রিমিয়ার রাশিয়াপন্থী এক নেতা দাবি করলেন, তাঁরা সেখানকার সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দখল নিয়েছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ক্রিমিয়ার ওই নেতা সাহায্যও চাইলেন রাশিয়ার কাছে। বললেন, দেশে শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক পুতিনের সরকার।
তাতে সাড়া দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশের পার্লামেন্টের কাছে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর অনুমতি চান। পুতিনের বক্তব্য, “ক্রিমিয়ার রুশ ভাষাভাষীর জনতাকে রক্ষা করতে সেনা পাঠানো প্রয়োজন।” রুশ পার্লামেন্ট তাতে সায় দিয়েছে। গত কাল দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর এবং তথ্যকেন্দ্রের দখল নিয়েছিল সশস্ত্র বাহিনী। কিয়েভের সরকারের দাবি, রুশ সেনাই এই সব আগ্রাসন চালাচ্ছে। এ দিনও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইগর তেনিয়ুখ অভিযোগ করেন, ক্রিমিয়ায় আরও ৬ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ পদচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। এ দিনের পর এই জল্পনায় নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই আশঙ্কা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে যে ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা পাঠাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেন-সঙ্কট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ব নেতারা বলছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেওয়া চলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “ইউক্রেনে রুশ সেনার গতিবিধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সে দেশে যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, রাশিয়ার তা দেখা উচিত। তা না করলে আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী কাজ করবে রাশিয়া। যার ফল ভুগতে হবে তাদের।”
ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসেনভ বলেছেন, সেনা-পুলিশ-সীমান্তরক্ষী-জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যেকেই যেন তাঁর নির্দেশ মেনে চলে। ক্রিমিয়ার নেতারা রাশিয়ার সাহায্য চাইলেও ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনইয়ুক মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ার অশান্তিতে রাশিয়া যেন মদত দেওয়ার চেষ্টা না করে। তাঁর কথায়, “দ্রুত সেনা ফিরিয়ে নিক রুশ সরকার।” তবে তিনি এ-ও বলেন, “রুশ প্ররোচনায় সাড়া দেবে না ইউক্রেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy