শি চিনফিং। ফাইল চিত্র।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে এক বিশেষ প্লেনারি অধিবেশনের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। কেন্দ্রীয় কমিটির ৪০০ নেতাকে নিয়ে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেজিংয়ে ওই রুদ্ধদ্বার অধিবেশন চলবে। শি-র ক্ষমতা আরও কত দূর দীর্ঘায়িত হবে, তা ওই অধিবেশনেই ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী বছর ২০তম পার্টি কংগ্রেসে শি-র হাতে তৃতীয় বারের মতো পার্টির সর্বময় কর্তৃত্ব অর্পিত হওয়া এক রকম পাকা। তার দিকনির্দেশিকাই আগামী সপ্তাহে তৈরি হয়ে যাবে বলে খবর। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ১০০ বছরের ইতিহাসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্য হিসাবে কী কী তুলে ধরা হবে, সে বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হবে প্লেনারিতে। সেই প্রস্তাবে কী থাকবে, তাই নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
এর আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দু’বার এমন প্লেনারি ডেকে বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। ১৯৪৫ সালে মাও জে দং এমনই এক প্রস্তাবের বলে পার্টিতে তাঁর নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে দেং জিয়াওপিং আর একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হেঁটেছিলেন। চিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বার তেমন যুগান্তকারী কিছু ঘটবে না। বরং শি-কেই পার্টির ‘স্বাভাবিক উত্তরাধিকারী’ হিসাবে তুলে ধরে তাঁর নেতৃত্ব আরও দীর্ঘায়িত করা হবে। দেং জিয়াওপিংের মতো শি-র প্রস্তাব হয়তো মাও-যুগের প্রতি তত সমালোচনাপ্রবণ হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।
তবে ওয়াকিবহাল মহল মোটামুটি একমত যে, শি-র অবিসংবাদী নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন বা চমক নেই। এর পরেও আর কোন উচ্চতায় তিনি নিজেকে তুলে নিয়ে যান, নজর সেই দিকেই। চিন-বিশেষজ্ঞ কার্ল মিনজ়নারের কথায়, ‘‘আগামী সপ্তাহের প্রস্তাবেই বোঝা যাবে শি নিজেকে কোন জায়গায় দেখেন! মাও আর দেং-এর সমতুল হিসাবে, না কি শুধু মাও-র সমতুল হিসাবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy