পাশাপাশি শি চিনফিং এবং কিম জং উন। পিয়ংইয়্যাংয়ে। এএফপি
চোদ্দো বছর পরে এই প্রথম চিনের শাসকের পা পড়ল উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়্যাংয়ে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে এ বার উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের দেখা হল নিজের দেশের মাটিতেই। এর আগে বেজিংয়ে দুই নেতার দেখা হয়েছে। শি-এর বারের সফরের ফলে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রসঙ্গে উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটবে বলে আশা কূটনীতিকদের।
দু’দিনের সফরে পিয়ংইয়্যাংয়ে আসা শি-কে কিম জানালেন, উত্তর কোরিয়া ধৈর্য ধরে রয়েছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট পক্ষ (আমেরিকা) আমাদের সঙ্গে কিছুটা এগিয়ে আসবে যাতে দু’পক্ষেরই উদ্বেগ নিরসনে পরিকল্পনামাফিক এগনো যায়। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওয়াশিংটন-পিইয়ংইয়্যাংয়ের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট ‘জটিল এবং সংবেদনশীল’ বলে মনে করেন চিনফিং। তাঁর বক্তব্য, কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে চিন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে চায়। চিনফিং বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সব পক্ষেরই আশা, আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার ফের কথা হবে এবং সে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।’’
চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত লড়াইয়ের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট চিনফিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা হতে পারে জাপানে। তাই বিশ্লেষকদের ধারণা, আমেরিকার সঙ্গে ফের উত্তর কোরিয়ার আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে বার্তা দিতে কিম হয়তো শি-কে অনুরোধ করতে পারেন।
পিয়ংইয়্যাং বিমানবন্দরে আজ এয়ার চায়না-র বিমানে সস্ত্রীক শি চিনফিং নামার পরে ফুল দিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান সস্ত্রীক কিম জং উন। ২১টি গান স্যালুটও দেওয়া হয় চিনা প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে। সেখানে ছিলেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। কিম এর আগে বেজিং গিয়ে শি-এর সঙ্গে চার বার দেখা করেছেন। চিন উত্তর কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু, তবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে কিমের সক্রিয়তায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বেজিং-পিয়ংইয়্যাং রসায়নে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy