ভিঞ্চির সেই হারিয়ে যাওয়া ছবি ‘সালভাতোর মুন্ডি’।
দু’বছর আগে ‘ক্রিস্টিজ়’-এর নিলামঘর থেকে ৪৫ কোটি ডলারে বিক্রি হওয়ার পরে আর কেউ চোখে দেখেননি সেটি। ইতিহাসের সব চেয়ে দামি শিল্পকর্ম, লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘সালভাতোর মুন্ডি’ সেই থেকে ‘নিখোঁজই’ ছিল। শিল্পদ্রব্য বেচাকেনা সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট আর্ট নেট. কম সম্প্রতি জানিয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে স্থান হয়েছে পাঁচশো বছরের প্রাচীন সেই ছবির।
দা ভিঞ্চির মোনালিসা-র সঙ্গে ‘সালভাতোর মুন্ডি’ (বিশ্বের ত্রাতা)-র প্রভূত সাদৃশ্যের কারণে এটিকে ‘মেল মোনালিসা’ বলা হয়। গবেষকদের দাবি, যিশুর এই প্রতিকৃতিটি দা ভিঞ্চির শেষ বড় কাজ। ক্রিস্টিনের নিলামে বিন সলমনের হয়ে ছবিটি কিনেছিলেন সৌদির অন্য এক যুবরাজ। আবু ধাবির যুবরাজ মহম্মদ বিন জ়ায়েদকে এই ছবি উপহার দিয়েছিলেন সলমন। যাতে ল্যুভর আবু ধাবি শাখায় ছবিটি রাখা যায়। কিন্তু ছবিটি আদৌ দা ভিঞ্চির আঁকা কি না, তা নিয়ে বিতর্কের জেরে আবু ধাবিতে ছবির প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় গত বছর। দা ভিঞ্চির মৃত্যুর ৫০০ বছর উপলক্ষে প্যারিসের ল্যুভ-এ প্রদর্শনীর জন্য ছবিটি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই আর এটির হদিস মেলেনি।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ২৬ মে সিনাই উপদ্বীপের দক্ষিণে মিশরের শারম এল শেখ শহরের কাছে লোহিতসাগরে ভাসতে দেখা যায় বিন সলমনের প্রমোদতরী ‘সিরিন’। সেখানেই ছিল ছবিটি। আর্ট নেট. কম জানিয়েছে, শিল্পসামগ্রী সংগ্রহের জন্য সৌদি আরবের আল-উলায় একটি সাংস্কৃতিক ও শিল্প কেন্দ্র তৈরি করছে দেশটি। যাকে এক কথায় ‘আর্ট ডিজ়নিল্যান্ড’ বলছে ওয়েবসাইটটি। সেখানেই থাকবে ‘সালভাতোর মুন্ডি’। তার আগে পর্যন্ত এটি ‘সিরিন’-এই থাকছে। এই প্রমোদতরীটিতে রয়েছে একটি নাইটক্লাব, সিনেমা হল, দু’টি হেলিপ্যাড, ডুবোজাহাজ রাখার জায়গা। শোনা যায়, বছর দু’য়েক আগে বিল গেটস এক সপ্তাহের জন্য ৫০ লক্ষ ডলারে ভাড়া করেছিলেন ‘সিরিন’।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy