Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Donald Trump

বাণিজ্যযুদ্ধে অনড় ট্রাম্প! ক্ষুব্ধ বেজিং

গত মে মাসে সেনেট অনুমোদন দেওয়ার পরে চলতি মাসেই কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞা বিলে সায় মেলে।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১০
Share: Save:

জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে এলে আমেরিকা-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ২০ জানুয়ারি শপথ বাইডেনের। কিন্তু তার মাসখানেক আগেই বেজিংয়ের সঙ্গে নয়া দ্বন্দ্বে জড়ালেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফের বাণিজ্যযুদ্ধে ট্রাম্প। চিনা সেনার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে মূল চিনা ভূখণ্ডের অন্তত ৫৯টি সংস্থার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিলেন। স্পষ্ট জানালেন, তাঁর দেশের হিসেব-নিরীক্ষার মানের সঙ্গে পাল্লা না-দিলে কোনও চিনা সংস্থাকেই তিনি আমেরিকায় পণ্য রফতানি করতে দেবেন না। বন্ধ থাকবে আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জের দরজাও।

গত মে মাসে সেনেট অনুমোদন দেওয়ার পরে চলতি মাসেই কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞা বিলে সায় মেলে। যাতে আইন অমান্যকারী যে কোনও বিদেশি সংস্থাকেই আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলার বিধান ছিল। কিন্তু বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের হাতেগোনা কিছু সংস্থা আমেরিকার কালো তালিকায় এলেও ট্রাম্পের নিশানা মূলত চিনই। স্বাভাবিক ভাবেই ট্রাম্পের এই ‘ভিত্তিহীন’ নিষেধাজ্ঞায় বেজায় চটেছে বেজিং। শুক্রবার বিলে সই করেছেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। যার প্রেক্ষিতে গতকাল কড়া বিবৃতি দিয়ে চিনা বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কথায়-কথায় আমেরিকার এই হুমকি তারা আর মেনে নেবে না। দেশের ছোট-বড় সংস্থাগুলির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তারা এর পাল্টা জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং।

চিনা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে ব্যবসা করার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই করে আসছেন ট্রাম্প। দফায় দফায় সে জন্য তাদের পণ্যের উপর করের বোঝাও চাপিয়েছেন। কিন্তু এ বছর তিক্ততার মাত্রা বেড়েছে আরও খানিকটা। যার একটা প্রধান কারণ হিসেবে করোনা অতিমারিকে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্পের দাবি, উহান থেকেই ছড়ানো হয়ে‌ছে এই ভাইরাস। আর চিন ইচ্ছে করেই বহু দিন পর্যন্ত তা চেপে গিয়েছিল বাকি বিশ্বের কাছে। বেজিং সময়মতো ব্যবস্থা নিলে অতিমারি আজ এই চেহারা নিত না বলেও দাবি তাঁর। চলতি বছরে চিনের উপর একের পর এক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এই রাগ থেকেও বলে মনে করছেন অনেকে। আবার বাইডেনের ভোটে জেতার পিছনে আমেরিকায় করোনা-মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাও একটা বড় কারণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ট্রাম্প তাই আদতে চিনের সঙ্গে তিক্ততা বাড়িয়ে বাইডেনের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখলেন কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Joe Biden China USA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy