আমরুল্লা সালেহ্
কাবুলের পতন নিশ্চিত জেনেও আগের রাতে রাজধানী শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে ছিল, তাঁদের অধিকাংশই শেষ মুহূর্তে গা ঢাকা দেন। বাধ্য হয়েই আহমেদ মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরের পঞ্জশিরে পাড়ি দিয়েছিলেন গনি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্। একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এ কথা জানালেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কাবুল থেকে পঞ্জশির পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় তখন অরাজক অবস্থা। আমরা জানতাম, পথেই অনেক বার তালিবান বাহিনীর আক্রমণের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। দু’বার হয়েওছিল। রক্ষীদের আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমি তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ করব না। ওদের বলে দিয়েছিলাম, আমি আহত হলে আমায় মাথায় গুলি করে মেরে দিও।’’
ওই প্রতিবেদনে সালেহ্ জানান, গত ১৫ অগস্ট তালিবান বাহিনীর কাবুল দখলের দিন সকালেই গনি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লা খান মহম্মদীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন সালেহ্। কিন্তু ফোনই তোলেননি মহম্মদী। তার পর শহরের পুলিশ প্রধানের থেকে সালেহ্ জানতে পারেন, পার্শ্ববর্তী ওয়ারডক প্রদেশ থেকে শুরু করে দক্ষিণের দুই জেলা এবং পূর্বের সীমানাও দখল করে নিয়েছে তালিবান বাহিনী। তিনি চেয়েছিলেন, রাজধানীর সীমানায় প্রচুর আফগান সেনা মোতায়েন করে আরও কিছু ক্ষণ যদি তালিবান বাহিনীকে আটকে রাখা যায়। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামরুল্লা মোহিবকেও ফোন করেছিলেন সালেহ্। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। তার পরই মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পঞ্জশিরে তালিবান বিরোধী জোট গড়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।
তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন সালেহ্। বলেন, ‘‘যাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। হোটেল বা প্রাসাদে বসে বিদ্রোহ করা যায় না। বিদ্রোহ চাইলে তার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও তৈরি থাকতে হয়।’’
পঞ্জশিরে বিরোধীদের একজোট করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা মোটেই সহজ ছিল না সালেহ্-র পক্ষে। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে কোনও সামরিক সরঞ্জাম ছিল না। তাও ওই রাতেই রণকৌশল তৈরি করি সবাই মিলে। পরিস্থিতি মোটেই আমাদের অনুকূলে ছিল না। আমি জানি, তালিবরা আমার মাথা চায়। কিন্তু এখন হার মানলে চলবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy