Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sweden

দীর্ঘ ২৮ বছর ঘরে বন্দি ছেলে, অবশেষে মুক্তি, গ্রেফতার মা

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের হেনিঞ্জ শহরতলি এলাকা থেকে এমন ঘটনা সামনে এসেছে।

ফ্ল্যাটে তল্লাশি পুলিশের।

ফ্ল্যাটে তল্লাশি পুলিশের।

সংবাদ সংস্থা
স্টকহোম শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:১১
Share: Save:

দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ছেলেকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে ধৃত মা। কিশোর বয়সে নিজের ছেলেকে তিনি ছেলেকে বাড়িতে বন্দি করেন বলে অভিযোগ। এখন সেই ছেলের বয়স ৪১। দীর্ঘদিনের বন্দিদশায় অপুষ্টিতে ভুগে রুগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের হেনিঞ্জ শহরতলি এলাকা থেকে এমন ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তি বন্দি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির যখন ১২-১৩ বছর বয়স, সেই সময় আচমকাই একদিন স্কুল ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন তাঁর মা। সেই থেকে আর কখনও তাঁকে দেখা যায়নি।

গত রবিবার ওই ব্যক্তির ৭০ বছর বয়সি মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর খোঁজ নিতে গিয়ে হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে দেখে চমকে যান তাঁদের এক আত্মীয়। দেখেন, সংক্রমণ থেকে পায়ে পচন ধরেছে ওই ব্যক্তির। ঠিক মতো পা ফেলে হাঁটতে পারছেন না। একটাও দাঁত অবশিষ্ট নেই। মুখফুটে একটি কথাও বেরোচ্ছে না। তাঁর এমন অবস্থা দেখে ওই আত্মীয় চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।

আরও পড়ুন: বাটা-র গ্লোবাল সিইও পদে প্রথম ভারতীয়, ১২৬ বছরে এই প্রথম​

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কেটেছে, করোনা নিয়ে মুখ খুলছে উহান​

স্টকহোম পুলিশের মুখপাত্র ওলা ওস্টারলিং সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ, ওই মহিলা বেআইনি ভাবে নিজের ছেলেকে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন। শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়েছে।’’ দীর্ঘদিন ওই ব্যক্তিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মেনে নিলেও, ২৮ বছরের সময়কাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। ছেলেকে বন্দি করে রাখার কথা তাঁর মা এখনও স্বীকার করেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Sweden Locked Up For 28 Years Crime Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy