ওকাসানা এবং স্টেপন।
খুনের আসামির প্রেমে পড়েছিলেন এক তরুণী। জেলে বন্দি থাকাকালীন দু’জনের আলাপ। তার পর তাঁদের মধ্যে চিঠি আদানপ্রদান হতে থাকে নিয়মিত। এ ভাবেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমিককে চিঠিতে প্রেম প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তরুণী। তা স্বীকারও করে নেন আসামি স্টেপন ডালজিক।
তরুণী আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি স্থির করেন, স্টেপন জেল থেকে ছাড়া পেলেই বিয়ে করবেন। তাঁদের দু’জনের সম্পর্কের কথা বাড়িতেও জানিয়েছিলেন ওকসানা পালুদেন্তসা নামে ওই তরুণী। পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্কে আপত্তি জানান। কিন্তু ওকসানা জেদ ধরে বসেন, বিয়ে যদি করতেই হয়, স্টেপনকেই করবেন। শেষমেশ মেয়ের জেদের কাছে হার মানে পরিবার।
ইতিমধ্যেই স্টেপনের সাজা শেষ হয়ে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর দু’জনে মিলে বিয়ের তারিখও ঠিক করে ফেলেন। আত্মীয়দের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করেন ওকসানা। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘স্বভাব যায় না মরলে’! জেল থেকে বেরোলেও স্টেপনের স্বভাব কিন্তু এতটুকুও বদলায়নি।
বিয়ের দিন অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওকসানা। স্টেপনও নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছিলেন। হঠাৎই স্টেপন দেখেন ওকসানা তাঁর কয়েক জন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন। সেই দৃশ্য দেখে নিজের রাগ ধরে রাখতে পারেননি। আত্মীয়দের সামনেই ওকসানাকে মারতে শুরু করেন। বেধড়ক মারের চোটে মৃত্যু হয় ওকসানার। স্টেপনের ওই মূর্তি দেখে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান আত্মীয়রা। পরে ওকসানার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্টেপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তাকে ১৮ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy