টুইটার থেকে নেওয়া।
স্বামীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়া। বাংলাদেশের পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জের ২২ বছরের তরুণী সীমা আক্তার ভেবেছিলেন, বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বিষ কিনতে সারের দোকানেও চলে যান সীমা। কিন্তু দোকানদার বিপদের আঁচ পেয়ে কোনও মতে নিরস্ত করেন সীমাকে। সারের দোকানদারের সঙ্গেই পরে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সীমা। তালাক দেন স্বামীকে। কিন্তু প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই আবার বিষপান সীমার। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এই যাত্রায়।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বছর চারেক আগে সীমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় শহিদুল্লার। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সংসারে নিত্য গোলমাল। এক দিন রাগ করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন সীমা। সেই মতো গ্রামেরই একটি সারের দোকান থেকে বিষ কিনতে যান। দোকানদার রায়হান বিপদের আঁচ পেয়ে সে যাত্রা সীমাকে কোনও মতে নিরস্ত করেন। পরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন সীমার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেন রায়হান। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্বেও বিয়ে করছেন না। এর পরেই সীমা রায়হানের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন। কিন্তু তাতেও রায়হানের বাড়ির লোক বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায়, নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে আবার বিষ খান সীমা। আত্মীয়রা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তবে পর পর দু’বার প্রণয়ঘটিত আঘাত এবং দু’বারই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা সীমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গিয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার তরফে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ তারা পাননি। অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এক তরুণী যে বিষ খেয়ে অসুস্থ সে খবর তারা পেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy