মার্কিন সেনার উপর হামলার পাল্টা জবাবে ড্রোন আক্রমণে মূল চক্রীকে খতম করেছিল আমেরিকা। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তান ছাড়লেও সেখানকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আমেরিকা। মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে সন্ত্রাসবাদীদের উপর আবার ড্রোন হামলা চালাবে তারা। আফগানিস্তানে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলির দিকেও যে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে, তা-ও জানিয়েছে পেন্টাগন।
মঙ্গলবার আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। আমেরিকা অবশ্য নির্ধারিত সময়ের আগে সোমবার রাতেই সেনা ফিরিয়ে নেয়। পেন্টাগনের বিবৃতিটি প্রকাশ্যে আসে তার ২৪ ঘণ্টা পরে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ইসলামিক স্টেট খোরাসান-সহ অন্য যে সব জঙ্গি গোষ্ঠী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাদের ঠেকাতে প্রয়োজন হলেই ড্রোন হামলা চলবে আমেরিকা।’’
এই আইএস খোরাসানই কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের নেপথ্য ষড়যন্ত্রী। বিমানবন্দরের লাগোয়া এলাকায় ওই বিস্ফোরণে ১৬৯ জন নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে আমেরিকার সেনা ছিলেন ১৩ জন। মার্কিন সেনার উপর সেই হামলার পাল্টা জবাবে ড্রোন আক্রমণ চালিয়ে মূল চক্রীকে খতম করে আমেরিকা। তবে এই জবাব আমেরিকা দিয়েছিল আফগানিস্তানে থাকাকালীন। মঙ্গলবার জন বলেছেন, ‘‘নিজের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমেরিকা আগামী দিনেও নজরদারি চালাতে পারে। সেই ক্ষমতা আমেরিকার আছে। আর কোনওরকম রাখঢাক না করেই বলছি, প্রয়োজন পড়লে আবার ড্রোন হামলা করতে দ্বিতীয় বার ভাববে না আমেরিকা।’’
মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছিলেন, আইএস খোরাসান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমেরিকার অবস্থানের বদল হচ্ছে না। কিছুটা হুমকির সুরেই বাইডেন বলেন, ‘‘তোমাদের হিসেব এখনও বাকি আছে। যারা আমেরিকার ক্ষতি করবে বা করার চেষ্টা করব তাদের খুঁজে বের করবে আমেরিকা। অপরাধের দাম দিতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy