প্রতীকী ছবি।
করেনার নতুন স্ফীতিতে বিপর্যস্ত দুই দেশেই রবিবার কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সেই পরিসংখ্যানে আশার আলো দেখছে না। বরং তারা জানিয়েছে, অতিমারি শেষ হতে এখনও ঢের দেরি। হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিসের কথায়, এই বিশ্ব সবে অতিমারির অর্ধেক পথ পেরিয়েছে।
ঘটনাচক্রে কিছু দিন আগেই হু জানিয়েছিল, যদি বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যায়, তবে অতিমারি এ বছরেই শেষ হতে পারে । বস্তুত, গত এক মাস ধকে ধারাবাহিক ভাবে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্রও নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু সংক্রমণ হঠাৎই বাড়তে শুরু করে গত সপ্তাহ থেকে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। তার পর চিন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ছয় লক্ষ ২১ হাজার ২৮১ জন। রবিবার সেই তুলনায় সংখ্যাটি কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লক্ষ ৩৪ হাজার ৭০৮ জন। তবে এখনও মৃত্যুর সংখ্যা বিশেষ কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা বিধ্বস্ত দেশটিতে। অন্য দিকে, চিনে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমে হয়েছে এক হাজার ৭৩৭। যা আগের দিনের দু’হাজার ২২৮-এর থেকে সামান্য কম। অবশ্য এই হিসেবে উপসর্গহীনরা নেই। কাারণ চিনে উপসর্গহীনদের এখনও করোনা আক্রান্ত বলে গণ্য করা হচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় এই উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে চিনে। প্রায় এক বছর পর চিনে শনিবার এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে করোনায়।
এই পরিস্থিতিতে হু-র মুখপাত্র মার্গারেটের কথায় উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ তিনি বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘‘অতিমারি শেষ হতে এখনও বহু দেরি। আমরা সবে এই পরিস্থিতির মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছেছি।’’ কেন এই পরিস্থিতি? তার কারণ ব্যাখ্যা করে হু বলেছে, আপাতত এর নেপথ্যে দু’টি মূল বিষয় কাজ করছে। এক, করেনার অতি সংক্রামক রূপ ওমিক্রনের এবং তার সামান্য পরিবর্তীত উপরূপ বা সাব ভ্যারিয়্যান্ট বিএ টু। দুই, বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy