বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে সংরক্ষণ মামলার শুনানি। —ফাইল চিত্র।
কোটা সংস্কারের দাবিতে অশান্তির আবহেই সংরক্ষণ নিয়ে মামলা চলছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে। আপিল বিভাগে মামলাটি শুনেছেন বিচারপতি। তিন ঘণ্টা ধরে শুনানি চলেছে। আপাতত রায়ঘোষণা স্থগিত। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ ব্যবস্থায় যে সংস্কার করেছিল শেখ হাসিনা সরকার, গত ৫ জুন তা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে সরকার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দীন। সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শীর্ষ আদালতে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি দিয়েছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে আইনজীবী আমিন উদ্দীন জানান, সংরক্ষণ নিয়ে জুন মাসে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে স্ববিরোধিতা রয়েছে। সেই কারণেই রায়টি বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে আরও জানান, সংরক্ষণ নিয়ে সংস্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসিনা সরকার। এই ধরনের সিদ্ধান্তে আদালত আদৌ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে দেশের পাঁচ জন সিনিয়র আইনজীবীর বক্তব্য শোনার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি। পাঁচ মিনিট করে তাঁদের বলতে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলেছে শুনানি। আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত। তবে রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের রায় জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৫১। বাংলাদেশে শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করেছে সরকার। যা এখনও চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা। তাদের ‘দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy