ছবি রয়টার্স।
আফগান মুলুক ছেড়ে শেষ বিদেশি বিমানটি রওনা হওয়া মাত্র উল্লাসে ফেটে পড়লেন তালিবান যোদ্ধারা। তালিবান নেতা হেকমাতুল্লা ওয়াসিক বললেন, ‘‘দেশ অবশেষে স্বাধীন হল।’’
সত্যিই কি তাই? ‘স্বাধীনতা’ আজ কেমন ভাবে উপভোগ করলেন কাবুলের বাসিন্দারা?
একটি আফগান সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্কুল খোলাই ছিল। আজ কাবুলের রাস্তায় প্রচুর পড়ুয়াকে দেখা গিয়েছে। বাবার হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মাসুদা। সে বলেছে, ‘‘আমি তালিবানকে ভয় পাই না। ভয়ের কী আছে?’’ কাবুলের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে মাসুদা। ওর হয়তো জানা নেই, দু’দশক আগে দেশের মেয়েদের শিক্ষার মূল্য কী ভাবে চোকাতে হয়েছে।
তারা বদলে গিয়েছে বলে সম্প্রতি বার্তা দিয়েছে তালিবান। কিন্তু বাস্তব বলছে, তালিবান ক্ষমতায় আসার পরে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়েছেন বহু মহিলা মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও পেশাদার। ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই মহিলাদের কাজে আসতে নিষেধ করেছে। জারি হয়েছে বোরখা পরার অলিখিত ফতোয়া। আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী শেখ আব্দুল বাকি হক্কানি যদিও আশ্বাস দিয়েছেন, তালিবান দেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবে। তবে সবটাই হবে শরিয়তি আইন মেনে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে ছেলেদের সঙ্গে এক ক্লাসরুমে নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy