কাচের দেওয়াল ভাঙছে বাঁদর। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া।
কে আর চায় খাঁচায় থাকতে? হোক না সে সোনার খাঁচা! মধ্য চিনের হেনান প্রদেশের ঝেনঝউ চিড়িয়াখানার বাঁদরটিও বুদ্ধি খাটিয়ে পালাতে চেয়েছিল। আর সে জন্য কাচের খাঁচার দেওয়াল ভাঙতে সে ব্যবহার করল একটি পাথরের টুকরো। বাঁদরটি ক্যাপুচিনো প্রজাতির।
ক্যাপুচিনো প্রজাতির বাঁদররা অন্যান্য বাঁদরদের থেকে একটু আলাদা। এদের গলা-বুক-মুখমণ্ডল সাদা রঙের হয়। গোটা শরীরটা বাদামী বা কালো লোমে ঢাকা। জঙ্গলে এরা সাধারণত ১৫ থেকে ২৫ বছর বাঁচে। তবে শুধু যে দেখতে আলাদা তাই নয়। এই ক্যাপুচিনো বাঁদর অন্যান্য বাঁদরদের চেয়েও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকেও কিছুটা এগিয়ে বলে মনে করা হয়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানাচ্ছে, ঝেনঝউ চিড়িয়াখানায় ২০ অগস্টের ঘটনা এটি। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়া এক পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনাটি। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পর্যটক জানিয়েছেন, প্রথমে একটি পাথরকে কিছুটা ধারালো করার চেষ্টা করে বাঁদরটি। তারপর সেটি হাতে করে নিয়ে এগিয়ে যায় কাচের দেওয়ালের দিকে। কয়েকবার কাচের দেওয়ালে আঘাত করে। এক সময় কাচের দেওয়ালে ফাটলও ধরিয়ে দেয়।ফাটল ধরতেই ভয় পেয়েছুটে পালিয়ে যায়। ওই পর্যটক জানিয়েছেন, পরে ফিরে এসে ফের সে কাচের দেওয়াল ছুঁয়ে দেখে।
আরও পড়ুন : পথ দেখাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, বাস টার্মিনাসে মা-শিশুর জন্য তৈরি হবে স্তন্যপানের কিয়স্ক
আরও পড়ুন : চুম্বন মেলানিয়া-ট্রুডোর, মাথা নিচু ট্রাম্পের, টিপ্পনি সোশ্যাল মিডিয়ায়
চিড়িয়াখানার এক কর্মী জানিয়েছেন, এই ক্যাপুচিনো বাঁদররা জানে ছোটখাটো যন্ত্র কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়। এমনকি অন্য বাঁদরদের আখরোট দিলে তারা তা কামড়ে খেতে চায়, কিন্তু ক্যাপুচিনো বাঁদররা কিছু একটা ব্যবহার করে সেগুলিকে ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করে।
চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনও পশু যাতে এভাবে কোনও দেওয়াল ভেঙে পালাতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy