Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Viral video

কবর থেকে ভেসে আসছে চিত্কার, ‘এখানে অন্ধকার আমাকে বার করো’

হঠাৎ কফিনের ভিতর থেকে শোনা যায় ব্র্যাডলির গলা। তিনি চিত্কার করছেন, শোনা যাচ্ছে, “হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো? আমাকে এখান থেকে বার করো। এখানে প্রচণ্ড অন্ধকার। ওটা কি যাজক (প্রিস্ট)-এর গলা? আমি শা, এই বাক্সের মধ্যে।”

শা ব্র্যাডলি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

শা ব্র্যাডলি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
ডাবলিন শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৩৮
Share: Save:

সবাই তাঁর প্রিয়জনদের হাসিখুশি রাখতে চান। তেমনটা চেয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের এক ব্যক্তিও। কিন্তু আমরা যেমন জীবদ্দশাতেই সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করি, এই ব্যক্তি নিজের মৃত্যুর পরেও শোক ভুলিয়ে সবাইকে হাসিয়ে দিয়ে গেলেন। আসলে সেটাই ছিল তাঁর শেষ ইচ্ছা। তাঁর মৃত্যুতে যেন প্রিয়জনরা চোখের জল না ফেলেন। বরং হাসতে থাকেন।

প্রায় তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে গত আট অক্টোবর মারা যান আয়ারল্যান্ডের কিলকেনির শা ব্রাডলি।আইরিস মিরর জানাচ্ছে, তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, শেষের দিনে তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের চমকে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শেষ দিনের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখেন ব্র্যাডলি।

মৃত্যুর পর চার দিনের মাথায় ১২ অক্টোবর তাঁকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলে। নিয়ম মেনে সব আচার অনুষ্ঠানের পর কবরে নামিয়ে দেওয়া হয় কফিন। সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুত। হঠাৎ কফিনের ভিতর থেকে শোনা যায় ব্র্যাডলির গলা। তিনি চিত্কার করছেন, শোনা যাচ্ছে, “হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো? আমাকে এখান থেকে বার করো। এখানে প্রচণ্ড অন্ধকার। ওটা কি যাজক (প্রিস্ট)-এর গলা? আমি শা, এই বাক্সের মধ্যে।”

আরও পড়ুন : ‘গরুর থেকে নারীদের দিকে বেশি নজর দিন’, প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা মিস কোহিমা প্রতিযোগীর

যিনি চার দিন আগেই মারা গিয়েছেন সেই ব্র্যাডলির গলা শুনে সবাই চমকে যান। হকচকিয়ে গিয়ে ভাবতে থাকেন হলটা কী? ব্র্যাডলি কি জেগে উঠলেন কবর থেকে? কিন্তু না এমন কিছুই হয়নি। ব্র্যাডলি সত্যি সত্যিই মারা গিয়েছেন, কবরের মধ্যে জেগেও ওঠেননি।

আরও পড়ুন : ধাক্কা দিল ট্যাক্সি, চাপা দিল এসইউভি, তবুও বেঁচে গেলেন মহিলা!

আসলে তাঁর পরিকল্পনা মতোই ব্র্যাডলির বড় ছেলে জনাথন ও জনাথনের ছেলে বেন-কে দিয়ে গোটা নাটকটি সাজান। ব্র্যাডলি প্রায় এক বছর আগেই তাঁর এই পরিকল্পনার কথা জানান বড় ছেলেকে। তাঁরা তিন জনে মিলে শা ব্র্যাডলির ওই কথাগুলি রেকর্ড করেন। তারপর তা শেষকৃত্যের দিন বাজিয়ে দেন। তাতেই সবাই প্রথমে চকমে গেলেও পরে দুঃখ ভুলে হাসতে শুরু করেন। আর এটাইতো চেয়েছিলেন ব্র্যাডলি। তাঁর মৃত্যুর পরও তিনি যাতে হাসাতে পারেন প্রিয়জনদের। ব্র্যাডলির মেয়ে অ্যান্ড্রিয়া বিষয়টি নিয়ে একটি টুইটও করেন।

অ্যান্ড্রিয়ার সেই টুইট:

দেখুন ব্র্যাডলির চমকে দেওয়া সেই নাটকের ভিডিয়ো:

অন্য বিষয়গুলি:

Funeral Viral video Ireland Dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy