স্বামীর সঙ্গে কেট। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ইংল্যান্ডের লিভারপুরের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের কেট কানিংহাম সম্প্রতি তাঁর বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন। যদিও বিবাহিত যে কেউ এই অনুষ্ঠান করতে পরেন। তবে কেটের বিষয়টি খবরে উঠে এসেছে তাঁর 'স্বামী'র কারণে। কারণ তাঁর 'স্বামী' আর পাঁচ জনের মতো কোনও মানুষ নন, তিনি একটি এলডার গাছ। তবে এর পিছনে তাঁর গভীর চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেট। কেটের এক বয়ফ্রেন্ড ও দুই সন্তান রয়েছে।
কেটের এই ‘গাছ-স্বামী’-র বাসস্থান সেফটনের রিমরোজ ভ্যালি কান্ট্রি পার্কে। আসলে এই পার্কের গাছ কেটে এখান দিয়ে একটি বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা চাইছেন না, রাস্তা তৈরির জন্য এই পার্ক ধ্বংস হয়ে যাক। তাই তাঁরা নানান ভাবে আন্দোলন করেছেন। আর সেই আন্দোলনকে এক কদম এগিয়ে নিয়ে গিয়ে পার্কের একটি এলডার গাছকে বিয়ে করে নিয়েছেন কেট। শুধু বিয়ে করাই নয়, নিজের পদবি পরিবর্তন করে কেট ‘এলডার’ করে নিয়েছেন তিনি। তবে গাছকে বিয়ে করার এই পরিকল্পনা তাঁর মাথায় আসে মেক্সিকোর এক মহিলার কথা জানতে পারার পর। সবুজ বাঁচানোর লড়াইয়ের সৈনিক সেই মহিলাও একটি গাছকে বিয়ে করেছিলেন।
কেট জানিয়েছেন, যদিও তাঁর বছর পনেরোর বড় ছেলে মায়ের এই বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা বিব্রত বোধ করে। তবে কেট নিজের সিদ্ধান্তের জন্য গর্বিত বলে জানিয়েছেন। ছেলেও একদিন এই বিয়ের মাহাত্ম্য বুঝতে পারবে বলে তাঁর আশা।
আরও পড়ুন: এক রত্তি এই ছেলের ব্যাটিং দেখলে চমকে যাবেন, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার
আরও পড়ুন: মিশরের এক সমাধিক্ষেত্র থেকে উদ্ধার হল ১৩টি অক্ষত কফিন, বয়স কত জানেন?
কেট দিনে পাঁচ বার তাঁর স্বামীকে দেখতে যান ওই পার্কে। তাঁর আশা, এই 'বিয়ে' সবুজ বাঁচানোর আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার সময় হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেট। তিনি বলেন, "এই পৃথিবী খুব সুন্দর একে নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়।" সম্প্রতি তাঁর পরিবার পরিজন নিয়ে বিবাহবার্ষিকী পালনের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।
দেখুন সেই ছবি:
Geçtiğimiz yıl bir ağaçla evlenen 38 yaşındaki Kate Cunningham 1'inci evlilik yıl dönümünü kutlamış. Ağaçla evlenmenin öz güvenini artırdığını söyleyen Kate, "kendimi öncesine göre daha güçlü ve daha iyi biri olarak görüyorum" demiş. Nice mutlu yıllara o halde. pic.twitter.com/dDSSDkAE72
— biacaip (@biacaipcom) September 14, 2020
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy