উৎক্ষেপণের মিনিট তিনেকের মাথায় প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বোকা চিকার আকাশ। ছবি: এএফপি।
বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রা শুরু করেছিল ইলন মাস্কের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র স্পেসএক্স-এর মহাকাশযান স্টারশিপ। কিন্তু যাত্রা শুরুর মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে মাঝ আকাশে প্রবল বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় মহাকাশযানটি। এ বার প্রকাশ্যে এল সেই বিস্ফোরণের মুহূর্তের ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আমেরিকার দক্ষিণ টেক্সাসের বোকা চিকায় স্পেসএক্স-এর লঞ্চ প্যাড থেকে সফল ভাবেই যাত্রা শুরু করেছিল যানটি। তা নিয়ে মাস্ক এবং স্পেসএক্স-এর বাকি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। স্টারশিপ উৎক্ষেপণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থার তরফে উৎক্ষেপণের মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে আনন্দ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এর মিনিট তিনেকের মাথায় প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বোকা চিকার আকাশ। বিস্ফোরণের কারণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় স্টারশিপ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর মহাকাশযানটিতে আগুন লেগে গিয়েছে। গাঢ় ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে পুরো আকাশ। গোত্তা খেয়ে প্রবল গতিতে মাটির দিকে নেমে আসছে স্টারশিপ।
স্পেসএক্স-এর পর্যবেক্ষণ, রকেট উৎক্ষেপণের তিন মিনিটের মধ্যেই উপরের অংশ (ক্যাপসুল) থেকে বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা না হওয়ায় যানটিতে আগুন লেগে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় ইলনের ‘স্বপ্নযান’।
Starship Super Heavy has experienced an anomaly before stage separation! pic.twitter.com/MVw0bonkTi
— Primal Space (@thePrimalSpace) April 20, 2023
Liftoff of Starship! pic.twitter.com/4t8mRP37Gp
— SpaceX (@SpaceX) April 20, 2023
স্টারশিপ তৈরিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছিল স্পেসএক্স। এই মহাকাশযানকেই এখনও পর্যন্ত তৈরি হওয়া সব থেকে শক্তিশালী মহাকাশযান বলে দাবি করছিলেন অনেকে। কিন্তু উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটেই তা ধ্বংস হয়ে যায়। যদিও এই ঘটনায় একটুও বিচলিত নন ইলন। স্পেসএক্স টুইট করে বলেছে, ‘‘এই ধরনের পরীক্ষায় আমরা যা শিখি তা থেকেই সাফল্য আসে। আমাদের আজকের পরীক্ষা স্টারশিপকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে কারণ স্পেসএক্স মানবজীবনকে অন্য গ্রহে পৌঁছে দিতে চায়। উত্তেজনায় ভরপুর স্টারশিপের প্রথম পরীক্ষার জন্য পুরো স্পেসএক্স দলকে অভিনন্দন।’’
তবে স্টারশিপের পরীক্ষা যে অসফল হতে পারে তা আগেই আঁচ করেছিলেন মালিক ইলন। তিনি নাকি এই উৎক্ষেপণ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। উৎক্ষেপণের আগে তিনি নাকি বিজ্ঞানীদের সতর্ক করেছিলেন যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ এই পরীক্ষা অসফল হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, এই উৎক্ষেপণ ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি খুব জটিল এবং বিশালাকার রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ। এই উৎক্ষেপণ লক্ষ উপায়ে ব্যর্থ হতে পারে।’’
তবে কয়েক মাসের মধ্যেই স্টারশিপের পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে স্পেসএক্সের তরফে।
প্রসঙ্গত, স্পেসএক্স অনেক দিন ধরেই এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করতে চাইছে, যা বার বার ব্যবহার করা যাবে। স্টারশিপের উচ্চতা ৩৯৪ ফুট, যা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়েও ৯০ ফুট বেশি উঁচু। এই মহাকাশযানে ৩৩টি শক্তিশালী র্যাপ্টর ইঞ্জিন রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তিন মহাকাশচারীকে এই মহাকাশযানে করে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy