অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীর পেটে ১০০ বারেরও বেশি কোপ মেরে গর্ভস্থ শিশুকে বার করেছিলেন এক তরুণী। তার ফলে ওই বান্ধবী ও তাঁর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীকে বুধবার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনাটি আমেরিকার টেক্সাসের।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২০ সালের অক্টোবরে রিগান সিমন্স হ্যানকককে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে টেলর রেনে পার্কার নামে ২৯ বছর বয়সি এক তরুণীর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ৩ অক্টোবর ওই তরুণীকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, বরাবরই সন্তানের মা হতে চেয়েছিলেন পার্কার। কিন্তু তাঁর হিস্টেক্টমি (অস্ত্রোপচার করে জরায়ু বাদ দেওয়া) করা হয়েছিল। যার ফলে আর সন্তান ধারণ করতে পারবেন না পার্কার। এর জেরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এমনকি, মা হতে পারবেন না বলে প্রেমিক তাঁকে ছেড়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভান করেন পার্কার। এ নিয়ে ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
হ্যানকক তাঁর বন্ধু ছিলেন। ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর হ্যানককের বাড়িতে যান পার্কার। সে সময় সন্তান প্রসবের একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিলেন হ্যানকক। সে দিনই হ্যানককের পেটে ১০০ বারেরও বেশি ছুরি দিয়ে কোপান পার্কার। শুধু তাই নয়, কোপানোর পর হ্যানককের পেট থেকে গর্ভস্থ শিশু বার করা হয়। এর পরেই নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো ওই নবজাতককে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন পার্কার।
আরও পড়ুন:
পার্কারের গাড়ি আটকায় পুলিশ। সে সময় পার্কার দাবি করেন যে, তিনি সদ্য সন্তান প্রসব করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই নবজাতক কন্যাসন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে মৃত্যু হয় নবজাতক। পরে এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলায় অবশেষে সাজা ঘোষণা করল আদালত।