প্রতীকী ছবি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ছিল কার্যত আদায় কাঁচকলায়। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যে সেই পথ থেকে পুরোপুরি সরে আসছেন না, তার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করল। আমেরিকান সেনেটের মেজরিটি লিডার চাঙ্ক স্কুমার একটি বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে, চাকরি ক্ষেত্র থেকে চিনকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা এবং ভারত ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।
আমেরিকান কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে স্কুমার তাঁর সতীর্থ ডেমোক্র্যাটদের বলেছেন, ‘‘সেনেট প্রেসিডেন্ট (কমলা হ্যারিস) এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত কমিটিকে একটি বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। ওই বিলে চিনের আধিপত্য সরিয়ে আমেরিকানদের জন্য নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরির প্রস্তাব থাকবে।’’ নিজের দলের সেনেটরদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডেকে সেখানে বিষয়টি আলোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন স্কুমার।
আমেরিকায় চাকরি ক্ষেত্রে বরাবরই চিনের আধিপত্য। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চিনের বিপুল সংখ্যক কর্মী আমেরিকায় কাজ করেন। এমনকি, আমেরিকান সংস্থাগুলিতেও রয়েছে বহু চিনা কর্মী। এর ফলে আমেরিকায় বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে সরকারের। সেই প্রবণতা রুখতেই নয়া বিল তৈরি হচ্ছে। স্কুমার বলেন, ‘‘বিলের মূল লক্ষ্য তিনটি। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমেরিকানদের চাকরির ক্ষেত্র প্রসারিত করা। তার জন্য আমেরিকান সংস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানো। তাতে আমেরিকান কর্মী ও উৎপাদন বাড়বে। ভারত, দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া এবং ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানো এবং চিনের আধিপত্য কমিয়ে আমেরিকানদের আরও বেশি চাকরির সুযোগ করে দেওয়া।’’
চিনের পাশাপাশি আমেরিকায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতেরও বিপুল সংখ্যক কর্মী কাজ করেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে আমেরিকার আপত্তি নেই। বরং ভারতের সঙ্গে কৌশলগত বোঝাপড়া আরও বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে চলেছে নয়া বিলে, যা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy