প্রতীকী ছবি
শুক্রবার থেকে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন সামরিক সচিব লয়েড জে অস্টিন। বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কোনও সদস্যের সেই সফরের আগেই আমেরিকার সেনেটের পক্ষ থেকে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। একটি চিঠিতে সেনেট সদস্য রবার্ট মেন্ডেজ দাবি করেছেন, ‘দুই দেশের আলোচনার সময় যেন ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশের বিষয়টি তোলা হয়। যেন বার্তা দিয়ে বলা হয়, ভারতকে তার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অটুট থাকতে হবে। কারণ, ভারত সরকার ক্রমে সেই মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে’।
আমেরিকার সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান মেন্ডেজ চিঠিতে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও টেনেছেন। বলেছেন, ‘সরকার যে ভাবে বর্তমানে প্রতিবাদরত কৃষকদের আন্দোলন ব্যর্থ করতে নেমে পড়েছে, যে ভাবে সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচকরা ভয়ে রয়েছেন, তা ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবনতির দিকেই ইঙ্গিত করে। সাম্প্রতিক কালে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে দেশের মুসলিম সমাজে আতঙ্ক তৈরি করা বা ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সরকার বিরোধীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় না গিয়ে তাঁদের আটক করা, সবই চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে’।
বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে ভারতকে। পপ তারকার রিহানা ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করায় শুরু হয়েছিল বিপুল বিতর্ক। সরকারের পক্ষ থেকেও পপ তারকার বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেয় কানাডা সরকারও।
এর আগে আমেরিকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তুলে এনেছিলেন আমেরিকায় ক্যাপিটল হিলে ছড়িয়ে পড়া হিংসার প্রসঙ্গ। এই অবস্থায় আমেরিকার সেনেট সদস্যের ‘ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ নিয়ে প্রশ্ন অন্য মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy