Advertisement
E-Paper

পেট কেটে গর্ভের সন্তান চুরি, মৃত্যুদণ্ড মার্কিন মহিলার

এক গর্ভবতী মহিলাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন লিসা। এর পরে পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তান চুরি করে নিজের বলে চালানোর চেষ্টা করেন।

ডিসেম্বরে কার্যকর হবে সাজা। ছবি: রয়টার্স

ডিসেম্বরে কার্যকর হবে সাজা। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪৩
Share
Save

প্রায় ৭০ বছর পর কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হতে চলেছে আমেরিকায়। ২০০৪ সালে এক মহিলাকে খুন করে পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তান চুরি করেন লিসা মন্টগোমরি। আগামী ৮ ডিসেম্বর বিষ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সেই অপরাধের সাজা দেওয়া হবে।

এক গর্ভবতী মহিলাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন লিসা। এর পরে পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তান চুরি করে নিজের বলে চালানোর চেষ্টা করেন। ২০০৭ সালে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পশ্চিম মিসৌরি জেলা আদালতের সেই রায়ের পরে মৃত্যুদণ্ড রোধের অনেক চেষ্টাই করেন লিসা। কিন্তু তাঁর ক্ষমা ভিক্ষার আর্জিতে কোনও সাড়া মেলেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করেন লিসা। নিজের শহর কানসাস থেকে গাড়ি চালিয়ে যান মিসৌরির বাসিন্দা স্টিনেটের বাড়িতে। স্টিনেট তখন আট মাসের অন্তঃসত্বা। আচমকা আক্রমণ করে স্টিনেটকে মারধর শুরু করেন লিসা। স্টিনেট বিছানায় পড়ে গেলে গলা টিপে ধরে। শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে তলপেট চিরে গর্ভস্থ সন্তান বের করে নেয়। এর পরে সেই শিশুকে নিজের বলে চালানোর চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন: পিকে-র নিদান, ম্যাডামের নির্দেশ, চেনা ‘কেষ্ট’ এখন পরিবর্তনে অচেনা

লিসা মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে আইনজীবীরা মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার আর্জি জানালেও আদালত তাতে কর্ণপাত করেনি। হত্যা ও শিশু অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা হয়। এ বার তা কার্যকর হতে চলেছে। এর আগে ১৯৫৩ সালে শেষবার কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয় আমেরিকায়। মিসৌরির একটি গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুর সাজা দেওয়া হয় বনি হেডি নামে এক মহিলাকে।

আমেরিকায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মৃত্যুদণ্ডের সাজা। ১৯৭২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ের ফেডারেল আদালত কিংবা আঞ্চলিক আদালত কেউই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাতে পারবে না। এর পরে ১৯৭৬ সালে ফের মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও জানায় শুধু ফেডারেল আদালতই এই সাজা শোনাতে পারবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে সেই অধিকার ফের পেয়ে যায় প্রাদেশিক আদালত। তবে আমেরিকায় অনেক প্রদেশেই এখনও মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিষিদ্ধ।

america execution murder

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy