তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের।—ফাইল চিত্র।
হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় একতরফা সেনা অভিযানের জন্য তুরস্কের বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি মাঠে নামলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের তিন মন্ত্রী-সহ বেশ কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল ওয়াশিংটন। কাল হোয়াইট হাউস থেকে এক প্রশাসনিক নির্দেশিকায় সই করে প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, আঙ্কারার সঙ্গে চলতে থাকা ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য আলোচনা আপাতত বন্ধ। এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশেরও বেশি কর চাপছে একাধিক পণ্যে। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কাল বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও।
‘শান্তির বসন্ত’ আনার কথা বলে গত বুধবার সিরিয়া-অভিযান শুরু করেছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের বাহিনী। তুর্কিদের ঠেকাতে সম্প্রতি সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কুর্দ বাহিনী। ভারত, ইটালি, চিনের মতো রাশিয়াও প্রথম থেকে তুর্কি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে এসেছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ক্রেমলিন। তারাই জানাল, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার মানবিজ শহর ও সংলগ্ন এলাকার আজ সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে সিরীয় বাহিনী। এই শহর সংলগ্ন এলাকাতেই সিরীয় শরণার্থীদের ফেরাতে ‘সেফ জ়োন’ তৈরির করার কথা বলেছিল আঙ্কারা।
কুর্দদের দাবি, তুরস্কের অভিযানের আজ সপ্তম দিনে সিরিয়ায় ঘরছাড়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে শিশু ৭০ হাজার। কুর্দ-পন্থী সিরিয়ার পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চার মেয়রকে আজ আটক করেছে তারা। এর্ডোয়ানের দাবি, এই মেয়রেরা যে দলের, তা ‘নিষিদ্ধ’ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি-রই অংশ।
মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, দলের অন্দরে চাপের মুখে পড়েই তুরস্কের বিরুদ্ধে এ ভাবে কড়া পদক্ষেপ করা শুরু করলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অবশ্য দাবি, কুর্দদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তুরস্ক আইএসের বিরুদ্ধে আমেরিকার দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে জল ঢালছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy