Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
US Election 2020

ট্রাম্পের হারে গুলিয়ে গেল কি আমেরিকার গণতান্ত্রিক কাঠামো?

ট্রাম্পের পরাজয়ের আর দু’টি কারণ বলে রাখা যাক। তার মধ্যে এক হল, কালো মানুষদের ওপর নির্যাতন নিয়ে বিপুল প্রচার। এর ফলেই সে দেশের উদারবাদী মানুষদের একাংশ ট্রাম্পের ওপর বিপুল চটেছেন। আর থাকল সময় মতো কোভিড প্রতিষেধক আবিষ্কার না-হওয়া।

আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জো বাইডেন।

আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জো বাইডেন।

শুভময় মৈত্র
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩০
Share: Save:

আমাদের দেশ বা রাজ্য রাজনীতি যথেষ্ট মশলাদার। আপাতত সেখানে কুড়ি টাকায় শ্রমজীবী ক্যান্টিনে মধ্যাহ্নভোজ থেকে গরলের পাউচ, দক্ষিণেশ্বরের প্রসাদের সঙ্গে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের পাশে বসে কলাপাতায় সেদ্ধভাত। তবে যে সব রাজনীতি অনুরাগী অন্তর্জাল কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় সুদূরে চোখ রাখেন, তাঁরা সম্ভবত চেখে দেখলেন সময় এবং দেশ নির্বিশেষে সর্বোত্তম সুস্বাদু খাদ্য। বাইডেন এবং ট্রাম্পের ভোটের লড়াই শেষ হল, জিতলেন প্রথম জন। তবে ফল প্রকাশের পর দেখলে সে তো শুধুই আপাত পরিসংখ্যান। আদতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যা এবং রাজনীতির যে ওঠানামা বাহাত্তর ঘণ্টা ধরে চলল, তাতে কয়েক হাজার বছরের পুরনো ফসিল পর্যন্ত জেগে উঠতে পারে। এই তিন দিনে আমরা ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছি একটানা। বারবার বদলেছে লেখা, আঁকিবুঁকি কেটেও কূল পাওয়া যায়নি ভবিষ্যতের। সকলের মতো আমরাও বারবার বলে গেছি যে, বাইডেন ভোট শতাংশে এগিয়ে এবং তাঁরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। সেটাই মিলেছে বলে নিজের হাত পেছনে বাড়িয়ে পিঠ চাপড়ানোর চেষ্টা করাই যায়। তবে আদতে যা ঘটেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্পও জিতে যেতে পারতেন। একেবারেই সম্ভাবনার সামান্য পরিবর্তন তাঁর দুর্ভাগ্যের কারণ। তাই যতই গম্ভীর মুখে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলি না কেন, ট্রাম্প যদি সাদা বাড়ির দরজায় ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বসে থাকেন সে ক্ষেত্রে খুব রাগ করার কিছু নেই। এ রকম কঠিন লড়াইতে হেরে যাওয়ার পর খেলব না বলে হাত-পা কিংবা লুডোর ঘুঁটি ছড়িয়ে কাঁদতে বসাই দস্তুর, থুনবার্গ যতই ট্যুইটারে চিমটি কাটুন না কেন। সে না হয় হল, কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ তো লিখতেই হবে। সে কথা বলার জন্যে কিছুটা পাটিগণিতের অঙ্ক কষে ফেলা যাক।

মোট ভোট পড়েছে সাড়ে ১৪ কোটির মতো, আর তার মধ্যে ১০ কোটির বেশি ভোটের দিনের আগে। অক্টোবর মাসে শোনা যাচ্ছিল প্রায় ৮-১০ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে ট্রাম্প। তেমনটা যে পরিস্থিতি নয় সেটা অবশ্য বোঝা গিয়েছিল নির্বাচনের আগে আগেই। শেষ বাজারে নিজের দিকে হাওয়া অনেকটা ঘুরিয়ে এনেছিলেন তিনি, গতবারের মতোই। শেষ ফলে তিনি পিছিয়ে আনুমানিক তিন শতাংশ ভোটে। কিন্তু যে জায়গাটায় দেরি হয়ে গেছিল, তা হল আগে ভোট জোগাড় করায় এ বার অনেক বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ‘আর্লি পোলিং’, ‘অ্যাবসেন্টি ব্যালট’, এ সব কথার আড়ালে আসলে যে আগে থেকে অন্যের ভোট বান্ডিলে বান্ডিলে জোগাড় করার ফলিত বিজ্ঞান, তার সুফল পেলেন বাইডেন। আপনি যখন একা বুথে গিয়ে ভোট দিচ্ছেন তখন আপনার আশেপাশে কেউ নেই। শেষ মুহূর্তে নিজের ইচ্ছায় যা খুশি তাই করতে পারেন স্বাধীন ভোটার। কিন্তু আগে থেকে কিছু কাগজে ছাপ মেরে সেটা পাঠানোর মধ্যে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেখানে যিনি অধিক ক্ষমতাশালী তিনি অনেক সহজে তুলনায় কম শক্তির মানুষকে দিয়ে নিজের খুশির ভোটটা দিইয়ে নিতে পারেন। কলকাতা ময়দানের ক্লাবের ভোটে এ ভাবে পোস্টাল ব্যালট যায়। সেখানে কি ধরনের ঘটনা ঘটে তা আমরা অনেকেই জানি। আমাদের দেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের আগে থেকে ছাপ মারা ব্যালটে খুব বেশি কিছু আসে যায় না, কারণ তার শতাংশ একেবারেই নগণ্য। ভাবুন তো আমাদের রাজ্যের ভোটে যদি দুই তৃতীয়াংশের বেশি ব্যালট বাড়িতে ছাপ মেরে পাঠাতে হত, তা হলে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কোনখানে গিয়ে দাঁড়াত? নিউটন সাহেব অবশ্যই কূল পেতেন না। অর্থাৎ এ কথা বলাই যায় যে কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা তাদের সমর্থকদের একটা বিরাট অংশকে আগে থেকে প্রভাবিত করতে পেরেছে। সেটা না হলে এর মধ্যে সামান্য অংশও যদি অন্য দিকে ঘুরে যেত, তা হলে আবার আসনের হিসেবে ট্রাম্পই জিততেন। তার কারণ যে ক’টি রাজ্যে শেষের দিকে ট্রাম্প হেরেছেন সেখানে ব্যবধান খুবই কম।

অর্থাৎ দেশ জুড়ে ভোট শতাংশে অনেক এগিয়ে থাকলেও লাভ নেই, বরং কম ব্যবধানে এক একটি রাজ্য জিতে নিয়ে সেখানকার সব আসন বগলদাবা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেষ দিক পর্যন্ত যে রাজ্যগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে— জর্জিয়া (১৬), মিশিগান (১৬), নেভাদা (৬), আরিজোয়ানা (১১), উইসকনসিন (১০) আর পেনসিলভেনিয়া (২০)। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ জায়গাতেই ট্রাম্প শুরুর দিকে যথেষ্ট এগিয়ে ছিলেন। ফলে সেই সময় গণনা শুরুর মাঝরাতে তিনি যে হঠাৎ লাফিয়ে উঠে জিতে গেছি বলেছিলেন, তাতে খুব ভুল নেই। কারণ এটা বুঝতে তাঁর তখনও বাকি ছিল যে, আগে দেওয়া ভোটের সাঙ্ঘাতিক বড় অংশ বিরুদ্ধে গেছে। সেটাও অবশ্য একটু পরেই তাঁকে দলের লোক বুঝিয়ে দিয়ে যায়। তখন থেকে তাঁর দাবি, ভোট না গোনার। খুবই স্বাভাবিক বক্তব্য। জেনেই যদি যাই যে বাকি বান্ডিলগুলোতে নিজের সর্বনাশ লেখা আছে, তখন গণনা বন্ধই জেতার একমাত্র পথ। সেটা শেষ পর্যন্ত ঘটেনি, আর তাই গণনা শেষে হেসেছেন বাইডেন। বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে, মিশিগান এবং পেনসিলভেনিয়াতে যে ভাবে প্রচুর পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে টপকে গেছেন বাইডেন, তার মধ্যে রয়েছে জনসমর্থনের থেকেও অনেক বেশি রাজনৈতিক পেশাদারিত্ব। ডেমোক্র্যাটদের এই আগাম ভোট যে মানুষগুলো নেতৃত্ব দিয়ে জোগাড় করেছেন ৩ নভেম্বর অর্থাৎ মূল নির্বাচনের দিনের আগে, তাঁরা যে ভাল সংগঠক তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানে কি সবটাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, নাকি আমেরিকার পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্যে জায়গায় জায়গায় তৈরি হতে শুরু করল পাড়ার দাদাদের শ্রেণি? মস্তানি করার মতো লোক আমেরিকার অনেক অশান্ত জায়গাতেই বর্তমান। কিন্তু তাদের ভোটের কাজে লাগানো হলে তখনই মুশকিল। উঠতি মস্তানেরা স্বাভাবিক নিয়মেই মনে করে সরকার তাদের। সুতরাং ট্রাম্পের মতো এক দক্ষিণপন্থী আগ্রাসী নেতা ভোটে হেরেছেন সে খুব ভাল খবর। কিন্তু এর মাধ্যমে আমেরিকার রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের সূচনা হল কি না সে কথা ভাবারও সময় এসেছে। নিম্নবিত্ত পাড়ার দাদারা রাজনৈতিক প্রতিপত্তি পেলে যে দুর্নীতিতে খুব তাড়াতাড়ি শিখরে পৌঁছে যায়, তার প্রচুর উদাহরণ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে আছে।

আরও পড়ুন: হেরে গেলেন ট্রাম্প, আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জো বাইডেন​

দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির সবটুকু নয়। এ বার তাই জনমুখী নীতির বিষয়টিতে আসা যাক। কোভিড পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে কিছু সুযোগসুবিধা দেওয়ার যে প্রয়োজন আছে তা বলাই বাহুল্য। ভারতের মতো বড় দেশে অল্প কিছু কাজ হয়েছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে আর্ধেক বছরের বেশি কেটে যাওয়ার পরও যে ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হয়নি, তার থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, মানুষের কাছে সামান্য হলেও কিছু সুযোগসুবিধা পৌঁছচ্ছে। কিন্তু সঙ্গে এ কথা বলতেই হয় যে, দেশের নিম্নবিত্ত কুড়ি কোটি পরিবারের হাতে মাসে হাজার দশেক করে টাকা কয়েক বার দিলে সরকার উঠে যেত না। তবু রাজনৈতিক কারণেই হয়তো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এ রকম সিদ্ধান্ত সরাসরি নিতে পারেনি। তবে নিলে যে একটা বিপুল জনসমর্থন বাড়ত তা নিয়ে সন্দেহই নেই। হয়তো এ রকম পরিস্থিতি আরও দু’বছর স্থায়ী হলে তখন ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে। হাতে গরম টাকায় ভোট আসবে গাঢ় হয়ে। আপাতত দিনকয়েক পরে বিহার বিধানসভা ভোটের ফল বেরলেও অবশ্য কিছুটা বোঝা যাবে যে, বিজেপি সম্পর্কে নিম্নবিত্ত মানুষের মতামত কী। সেই সূত্র ধরেই বলতে হয় যে ট্রাম্প সরকার মার্চ-এপ্রিলে কোভিড জমানার শুরুতেই মানুষের কাছে অর্থসাহায্য পৌঁছে দিয়েছিলেন। অনেক করদাতা কয়েকশো বা হাজার ডলার পেয়েছেন সে দেশে বসে থেকে। শুধু আমেরিকার নাগরিক নন, অন্য দেশের মানুষও, যাঁরা আমেরিকায় কর দেন, তাঁরাও এই সুবিধে পেয়েছেন। মুশকিল হল এর পর থেকেই। জনগণের কাছে এই ধরনের অর্থ সাহায্য দ্বিতীয় বার পৌঁছে দেওয়া গেল না। আমেরিকায় পার্লামেন্টের দু’টি ভাগ আছে— হাউস আর সেনেট। হাউসে রাজত্ব করছে ডেমোক্র্যাটরা, আর সেনেটে রিপাবলিকান। দ্বিতীয়বারের সাহায্যের কথা যখন উঠতে শুরু করল, অগস্ট-সেপ্টেম্বরে, তখন এক কথায় তাতে সায় দিল ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা হাউস। হিসেবের কাগজপত্রও বানিয়ে দিল তারা। কিন্তু সেনেটে গিয়েই বিষয়টা গুলিয়ে গেল। মনে রাখতে হবে, এতে যেমন রাজনৈতিক কারণে ট্রাম্পের সায় থাকতে পারে, তেমনই রিপাবলিকানদের মধ্যে যে ট্রাম্প বিরোধীরা আছেন, তাদের চক্রান্তও অসম্ভব নয়। অন্তর্দ্বন্দ্ব শুধু বিজেপি-তৃণমূলের নেই বরং বলা ভাল আমাদের কাছ থেকে বিষয়টা ভালই শিখে নিয়েছে আমেরিকা।

দেশের উদারবাদী মানুষদের একাংশ ট্রাম্পের ওপর বিপুল চটেছেন।

ট্রাম্পের পরাজয়ের আর দু’টি কারণ বলে রাখা যাক। তার মধ্যে এক হল, কালো মানুষদের ওপর নির্যাতন নিয়ে বিপুল প্রচার। এর ফলেই সে দেশের উদারবাদী মানুষদের একাংশ ট্রাম্পের ওপর বিপুল চটেছেন। আর থাকল সময় মতো কোভিড প্রতিষেধক আবিষ্কার না-হওয়া। বিজ্ঞানকে খুব একটা দখল করতে পারেননি ট্রাম্প। মিল পাবেন ভারতেও, স্বাধীনতা দিবসে তাই লালকেল্লায় টিকা জোটেনি। বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং ওষুধ নিয়ে গোলমেলে ব্যবসা চলে বিশ্ব জুড়ে। আমেরিকা সেই ব্যবসায় নেতাগিরি করছে অনেক দিন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে এখনও গণহারে অসততার ঘনত্ব কম। তাই ভোটপ্রচারে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিলেও তাড়াহুড়ো করে প্রতিষেধক নামিয়ে দেওয়ার মত সাহসী কাজ তিনি করে উঠতে পারেননি।

মানুষ ভোট দিয়ে রেকর্ড করেছেন।

ট্রাম্প আর বাইডেন তো নিমিত্তমাত্র। শেষ করা যাক গণতন্ত্রের জয় এবং পরাজয় দিয়ে। এই পরিস্থিতিতেও মানুষ ভোট দিয়ে রেকর্ড করেছেন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে বোঝা যাচ্ছে, মোট ভোট পড়েছে গত বারের থেকে ১ কোটির মতো বেশি, যা কিনা প্রায় ৬-৭ শতাংশ। তবে এই নির্বাচন নিয়ে যা হল, তা আমেরিকার মতো একটা দেশের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয়। তার একটা বড় কারণ অবশ্যই ট্রাম্প এবং আগাম ভোটের তুরুপের তাসে মাত হলেন তিনি। এখন হেরে গিয়েও হার না-মানার খেলায় নেমেছেন দক্ষিণপন্থী রাষ্ট্রনায়ক। মার্কিন দেশে এখনও তিনি দু’মাসের ওপর ক্ষমতায় থাকবেন। ভোটফল বেরিয়ে গেলেও সে দেশে ক্ষমতার হাতবদল হয় পরের বছর। সুতরাং একুশের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা। এঁর মধ্যে ট্রাম্প সাহেব যদি পুতিন, জিনফিং, কিম, এরদোগান এঁদের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক সেরে ফেলেন, তা হলে জীবৎকালে প্রেসিডেন্ট থেকে যাওয়ার সফল মন্ত্র শিখতে পারবেন। আর দয়া করে কোর্টে না গিয়ে যদি গণতন্ত্রকে ক্ষমা করেন, তা হলে পরীক্ষা শুরু বাইডেনের। ২৭০-ই পান কিংবা ৩০০, জেতার পর আসনের আর দাম নেই। এত কৌশলের পরেও সেনেট সম্ভবত থেকে গেল রিপাবলিকানদের হাতেই। অন্তত সামনের দু’বছরের জন্য। ওবামা এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁর রাজত্বের শেষ দু’বছরে। সাম্প্রতিক কালে মার্কিন দেশে বিভাজন আরও স্পষ্ট। ফলে বাইডেন আর রাতের ঘুমে জমিয়ে নাক ডাকার সুখ পাবেন বলে মনে হয় না।

সাম্প্রতিক কালে মার্কিন দেশে বিভাজন আরও স্পষ্ট। ফলে বাইডেন আর রাতের ঘুমে জমিয়ে নাক ডাকার সুখ পাবেন বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন: তোতলামির সমস্যা কাটান নিজেই, স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন বাইডেন​

আর ভারতে বসে এই লেখা। তাই এটাও মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, বাইডেনের সঙ্গে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ দেশের রক্তের সম্পর্ক থাকলেও, বিজেপির সঙ্গে কিন্তু মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা খুব জানা নেই। বরং কাশ্মীর নিয়ে একাধিক বার বেসুরো গেয়েছেন কমলা হ্যারিস। অন্য দিকে কোভিড পরিস্থিতির জনক চিনকে বেশ ভালই ধমকাচ্ছিলেন ট্রাম্প। ব্যবসা আর রাজনীতির স্বার্থেই হয়তো বাইডেন আবার সেই জায়গাটা কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবেন। সেটাও ভারতের বর্তমান সরকারের পক্ষে ভাল খবর নয়। সব মিলিয়ে তিন দিন একটানা মার্কিন দেশের নির্বাচন অনুসরণ করে আমরা কী পেলাম সেটা একেবারেই পরিষ্কার নয়। তবে শেষ হেমন্তে গা তো ঘামল! এ বার নজর বিহারের দিকে। বাম-কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তেজস্বী বাইডেন হতে পারবেন কি?

(লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত।)

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

অন্য বিষয়গুলি:

US Election 2020 Joe Biden Donald Trump White House India Democracy Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy