জো বাইডেন (বাঁ দিকে), নরেন্দ্র মোদী (মাঝে) এবং ভ্লাদিমির পুতিন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
জি২০ বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে দিল্লির বিমান ধরতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ বৈঠকের আসর বসতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের এই বৈঠকে এ বার সভাপতিত্ব করছে ভারত।
ভারত এবং আমেরিকার বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্কের নিরিখে বাইডেনের দিল্লি আসা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। সম্প্রতি মোদীর আমেরিকা সফরেও বাইডেন জানিয়েছিলেন, তিনি সেপ্টেম্বরের জি২০ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বাইডেনের আসার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হলেও জি২০ গোষ্ঠীর আর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পুতিন দিল্লি এসে এই বৈঠকে যোগ দিলে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ, ভারত এই যুদ্ধে কোনও পক্ষ না নিয়ে চলার অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমি দেশগুলির অনুরোধ উপেক্ষা করেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত।
মোদীর আমেরিকা সফরের সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের তরফে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে ওয়াশিংটনের তরফে বলা হয়, জি২০ বৈঠকে ভারত সভাপতিত্ব করায় আমেরিকা খুশি। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া জি২০-র রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেননি পুতিন। রাশিয়ার তরফে বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ওই বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যে ঘোষণাপত্রের কথা বলা হয়, তাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বিবৃতি জারির বিরোধিতা করে চিন, সৌদি আরব, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু দেশ। ভারতের পক্ষ থেকে চিন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলের সুরে জানানো হয়েছিল, সংঘাতের উল্লেখ থাকলেও তা নিয়ে যেন রাশিয়াকে অতিরিক্ত ভর্ৎসনা করা না হয়। কিন্তু পশ্চিমি দেশগুলির তরফে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ভূমিকার সমালোচনা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy