এটি সেই মার্কিন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেছে ইরান। ছবি: রয়টার্স
হুমকি, পাল্টা হুমকির জেরে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। কোনও পক্ষ সরাসরি মুখ না-খুললেও, দু’তরফে যুদ্ধ পরিস্থিতি আঁচ করে কোমর বাঁধল ভারতীয় নৌসেনা। ওমান ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় আইএনএস-চেন্নাই এবং আইএনএস-সুনয়না নামের দু’টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে তারা। চলবে আকাশপথে নজরদারিও।
পারস্য উপসাগর দিয়ে দিনে মোটামুটি পাঁচ থেকে আটটি অশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার যাতায়াত করে ভারতের। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ বার নিরাপত্তা খাতে এর প্রত্যেকটিতে এক জন করে নৌসেনা অফিসার ও দু’জন করে নাবিক থাকবে। ট্যাঙ্কারে কপ্টার-ডেক থাকলে, প্রয়োজনে যাতে সেখানে নৌবাহিনীর কপ্টার নামানো যায়, তারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
গত কালই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মার্কিন ‘গুপ্তচর ড্রোন’ নামানোর দাবি করেছে ইরান। যার কড়া নিন্দা করেছে ওয়াশিংটন। তেহরানের এই পদক্ষেপকে ‘বড় ভুল’ বলে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হরমুজ় প্রণালী এবং ওমান উপসাগরীয় এলাকায় ইরান নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা দিয়ে মার্কিন বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারগুলিও যে হেতু হরমুজ প্রণালী দিয়েই যাতায়াত করে, তাই ওই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নিতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা।
তেহরান-ওয়াশিংটনের দ্বন্দ্ব মেটাতে ইরানে তাঁর শীর্ষ কূটনৈতিক উপদেষ্টাকে পাঠাচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। পরিস্থিতি আঁচ করে ভারত ঝুঁকি নিতে চাইছে না। অতিরিক্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আজ জাহাজ পরিবহণের ডিজি এবং জাহাজ মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে নৌসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy