শেষ পর্বে পাল্লা ভারি জো বাইডেনের— ফাইল চিত্র।
ঘোষিত ফলের অঙ্কের হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু ৪ রাজ্যের পাল্লা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে ঝুঁকে পড়লেই ফের চার বছরের জন্য ক্যাপিটল হিলের দখল কায়েম করবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং নেভাদা রাজ্যের দিকে তাকিয়ে যুযুধান দুই শিবির। সব মিলিয়ে তিন দিন পরেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের গণনা অব্যাহত।
ফল ঘোষিত রাজ্যগুলির হিসেবে ডেমোক্র্যাট বাইডেনের দখলে ২৫৩ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট। ২১৪ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট এসেছে রিপাবলিকান ট্রাম্পের হাতে। ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে জেতার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ভোট। পেনসিলভেনিয়ায় ২০, জর্জিয়ায় ১৫, নর্থ ক্যারোলিনায় ১৫ এবং নেভাদা প্রদেশে ৬টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর বলছে, এর মধ্যে প্রথম তিনটি রাজ্যে বাইডেনের তুলনায় সামান্য এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। যদিও রাজ্যেগুলিতে তুমুল লড়াই চলছে। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান কয়েকটি ক্ষেত্রে ১ শতাংশেরও কম। ফলে যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা। যদিও ঘোষিত ফলের হিসেবে ট্রাম্পের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে থাকায় বাইডেনের পক্ষে যে কোনও একটি রাজ্যে জেতাই যথেষ্ট। ট্রাম্পকে জিততে হবে ৪টি রাজ্যেই। অ্যারিজোনা এবং আলাস্কায় ভোটগণনা শেষ হলেও এখনও কিছু বিতর্কের জেরে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ হয়নি বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবর। ওই দুই রাজ্যে ১১ এবং ৩টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
আরও পড়ুন: লাইভ: প্রেসিডেন্টের দৌড়ে পাল্লা ভারী বাইডেনের, ভোটচুরির দাবিতে অনড় ট্রাম্প
ট্রাম্প শিবিরের আনা গণনায় কারচুপির অভিযোগ ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে মিশিগান ও জর্জিয়ার আদালত। ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তার পরেও নাছোড় ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ট্রাম্প শিবির। জর্জিয়া নিয়ে রিপাবলিকানদের নালিশ, চেথাম কাউন্টির এক অবজার্ভার দেখেছেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে পৌঁছনো ব্যালট বেআইনিভাবে বৈধ ব্যালটের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। মামলাগুলি গৃহীত হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ট্রাম্প নিজে টুইট করেছেন,‘পেনসিলভেনিয়াতে বড় আইনি জয়’।
ট্রাম্পের পুরনো টুইট ট্রোল করলেন থুনবার্গ।
ভোটের গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে স্থগিতের জন্য ট্রাম্পের তৎপকতাকে কটাক্ষ করেছেন আন্তর্জাতিক পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ট্রাম্পেরই পুরনো এটটি টুইট ট্রোল করে থুনবার্গ টুইটারে লিখেছেন, ‘হাস্যকর। ট্রাম্পকে অবশ্যই তাঁর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারপর বন্ধুদের সঙ্গে একটি ভাল পুরনো সিনেমা দেখতে যেতে হবে। চিল ডোনাল্ড চিল’। ঘটনাচক্রে, গত ডিসেম্বরে ‘টাইম’ পত্রিকা থুনবার্গকে বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব (পার্সন অফ দ্য ইয়ার) মনোনীত করা পরে ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ‘ভোটগণনা বন্ধ করো’, বলছেন ট্রাম্প সমর্থকেরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy