বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ফের মুখ খুলল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতর সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ‘অত্যাচারের’ ঘটনার নিন্দা করেছে। এই বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ করে, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
বুধবার মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “যে কোনও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হিংসা কিংবা অসহিষ্ণুতার ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশে বসবাসকারী সকলের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করলে আমরা স্বাগত জানাব। তাই আমরা নজর রাখছি।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ভারত সফরে এসে আমেরিকায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বেগপ্রকাশ’ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গাবার্ড। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের।
তুলসীর ওই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি ঢাকা। মার্কিন গোয়েন্দা অধিকর্তার মন্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইউনূস সরকার দাবি করে, কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের উপর ভিত্তি না-করেই ওই মন্তব্য করেছেন গাবার্ড। ইউনূস সরকারের এই প্রতিক্রিয়ার পরেও মার্কিন বিদেশ দফতর সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করল। বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ‘অত্যাচার’ নিয়ে আমেরিকা যে ভাবে বার বার সরব হচ্ছে, তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।