খনিজ চুক্তি কার্যকর করার পথে এক ধাপ এগোল আমেরিকা এবং ইউক্রেন। শুক্রবার ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে সমঝোতাপত্র বা ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই এই সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দুর্লভ কিছু খনিজের নাগাল পাবে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘ দিন ধরেই এই চুক্তি কার্যকর করার পক্ষপাতী। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে বিপুল আর্থিক সাহায্য জুগিয়েছিল আমেরিকা। এই চুক্তিতে সই করে সেই ‘ঋণের’ কিছুটা অংশ চোকাবে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশ।
শুক্রবার সমাজমাধ্যমে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের কথা জানান ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিডেঙ্কো। তিনি লেখেন, “আমেরিকার সঙ্গীদের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি আমরা।” এই চুক্তির ফলে আমেরিকার সঙ্গে অর্থনৈতিক বোঝাপড়া ছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিল গড়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনে বিনিয়োগ করার জন্য আমেরিকার সকলকে আহ্বানও জানিয়েছেন ওই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
আমেরিকা এবং ইউক্রেনের মধ্যে বিশেষ খনিজ চুক্তি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই কথাবার্তা চলছিল। জ়েলেনস্কিই এই চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রেনে কিছু বিরল খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। সেই খনির দিকে আমেরিকার নজর রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বিনা বাধায় সেই খনি ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার কথা আমেরিকার। ট্রাম্প সেই কারণেই এই চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কির মধ্যে তুমুল বাগ্যুদ্ধ হয়। খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর না-করেই হোয়াইট হাউস ছাড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।