ফাইল চিত্র।
মৌলবাদী চিন্তাধারা রোখার প্রশ্নে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের উলেমাদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। গণতন্ত্রে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার, হিংসা, ক্ষুদ্র স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার যেমন অনভিপ্রেত তেমনি ঘৃণা ভাষণের কোনও স্থান নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। বিরোধীদের প্রশ্ন, ডোভাল ঘৃণা ভাষণের বিরোধিতায় সরব হলেও, শাসক শিবিরের নেতারা যে ভাবে সম্প্রতি গুজরাতে ভোট প্রচারে বক্তব্যের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন তা থামানোর পথ কী?
সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে সবথেকে বেশি মুসলিমদের বাস ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। দু’দেশই মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের শিকার। ভারত সরকারের দাবি, যার বড় কারণ মুসলিম যুবকদের একাংশের মৌলবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হওয়া। যা রোখার প্রশ্নে দু’দেশের উলেমারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলেই জানান ডোভাল। আজ দিল্লিতে একটি আলোচনাচক্রে ডোভাল বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুব সমাজই মৌলবাদের মূলত শিকার হয়। অথচ, ঠিক পথে পরিচালিত করা গেলে সমাজের উন্নতির প্রশ্নে এঁরাই চালিকাশক্তি হতে পারেন।’’ তাই উলেমাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন ডোভাল। তিনি বলেন, ‘‘যুব সমাজকে সহিষ্ণুতা ও মধ্যপন্থার পাঠে উৎসাহিত করতে পারেন একমাত্র উলেমারাই। যাতে মৌলবাদী ও চরমপন্থাকে উদারবাদী ও প্রগতিশীল ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে রোখা সম্ভব হয়। আইএস ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ব্যক্তিকেন্দ্রিক সন্ত্রাসের শাখাকে চিহ্নিত করা এবং আফগানিস্তান ও সিরিয়া ফেরত কট্টর ভাবধারায় বিশ্বাসীদের মোকাবিলায় নাগরিক সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।’’
প্রশ্ন উঠেছে ডোভালের ঘৃণাভাষণ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ক’দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাতে ভোট প্রচারে ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, দু’দশক আগে ‘ওদের’ উচিত শিক্ষা দেওয়ায় রাজ্যে শান্তি ফিরে এসেছে। এখানে ‘ওদের’ বলতে শাহ কোন সম্প্রদায়কে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট। তাই শাসক শিবিরের নেতাদের ঘৃণা ভাষণ রুখতে কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা-ও স্পষ্ট করা উচিত ছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy