ইউক্রেনের চেরোনোবিল দখল নিয়েছে রাশিয়া। ছবি সৌজন্য: রয়টার্স।
কয়েক সপ্তাহ জুড়ে চলা চাপানউতর শেষ। বৃহস্পতিবার সত্যিই ইউক্রেন আক্রমণের ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আর তার পরেই মুহুর্মুহ বিস্ফোরণের শব্দ আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ইউক্রেনের আকাশ। বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ মিশেছে বাতাসে। আকাশে যুদ্ধবিমানের নিরন্তর আনাগোনা। এর মধ্যে রাশিয়া একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে, ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ৭০টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করে ফেলেছে তারা।
উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই। বরং ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি। এর মধ্যেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চেরোনবিল প্ল্যান্ট দখল করে ফেলেছে রাশিয়া। ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের যে চেরোনোবিল পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণে নিহত হন অন্তত ৩২ জন মানুষ। সেই কেন্দ্র এখন রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেনের রাজধানী কিভে জারি হয়েছে কার্ফু।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিনে যা যা ঘটল...
১) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউক্রেনের পরিত্যক্ত পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন রাশিয়ার দখলে।
২) কিভের মেয়র ভাইটালি ক্লিচকো রাজধানীতে নৈশ কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেনের স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত জারি এই কার্ফু। এই সময়ে কোনও গণপরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। মেট্রো স্টেশনগুলি অবশ্য খোলা থাকবে।
৩) ইউক্রেনের দক্ষিণ খেরসনের বিস্তীর্ণ এলাকা আর কিভের নিয়ন্ত্রণে নেই। জল-স্থল-অন্তরীক্ষে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে এই সমস্ত অংশ এখন তাদের দখলে বলে খবর।।
৪) রাশিয়ার সেনা বাহিনী গোস্টোমেল বিমানঘাঁটি দখলের পর কিয়েভের উত্তর উপকণ্ঠে একটি বিমান ঘাঁটির দখল নিয়ে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ। দুই পক্ষের প্রবল গোলাগুলি চলে।
৫) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলটোমির জেলেনস্কি জানান, শুধু ক্ষেপনাস্ত্র বর্ষণ বা বিমানের শব্দ নয়, এই গর্জন আসলে সভ্যতা ধ্বংসের চেষ্টা। যার জন্য দায়ী থাকবে রাশিয়া। অন্য দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, পূর্ব ইউক্রেনের নাগরিকের সুরক্ষার জন্য এই সামরিক অভিযানের প্রয়োজন ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy