ছবি: রয়টার্স
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের মধ্যেই বারবার উঠে আসছে টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের ব্রিটেনে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি। তার মধ্যেই বরিস সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি ভারতে টিকাপ্রাপ্তদের টিকার শংসাপত্র দেখে বলা যায় যে ব্রিটেনের ঠিক করা ন্যূনতম নিয়ম মানা হয়েছে, তা হলেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর মোট ১৮টি দেশের ক্ষেত্রে এই নিয়ম রয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটেন।
ভারতে দেওয়া কোভিশিল্ড এখনও ব্রিটেনের অনুমোদিত টিকার তালিকায় নেই। সেই কারণে কোনও টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয় ব্রিটেনে গেলে মানতেই হবে বিচ্ছিন্নবাসে থাকার নিয়ম। ব্রিটেন সরকারের নিয়ম অনুসারে যে হেতু কোভিশিল্ড তালিকায় নেই, তাই ব্রিটেনে সেই টিকা নিয়ে প্রবেশ করলেও তাঁকে টিকাপ্রাপ্ত নয় বলেই ধরে নেওয়া হবে। তার পর একাধিক বার করোনা পরীক্ষা করে তবেই ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া হবে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, যে ব্রিটেনকে এক সময় কোভিশিল্ড পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত, সেই ব্রিটেনই কোভিশিল্ডের কার্যকারিতাকে অস্বীকার করে কী করে? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা।
এই বিতর্কের মধ্যেই বুধবার ব্রিটেন সরকারের অন্দরের খবর, অনুমোদিত দেশের যে তালিকা করা হয়েছে, সেই তালিকা প্রতিনিয়ত সংশোধনের কাজ চলছে। ফলে কোন দেশ থেকে কী শর্তে ব্রিটেনে প্রবেশ করা যাবে, তা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যদি ব্রিটেনের দেওয়া ন্যূনতম শর্ত ভারতের টিকাপ্রাপ্তদের শংসাপত্র পূর্ণ করতে পারে, তা হলেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়াও ব্রিটেন সরকার ধাপে ধাপে ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই পুরো প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চাইছে এবং আরও সহজ করতে চাইছে। পাল্টা ভারতও পরিস্থিতি নিয়ে নিজের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের প্রতি যদি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় তা হলে ভারতও সেটা ভাল ভাবে নেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy