অমিল: লন্ডনের একটি সুপারমার্কেটে ফাঁকা তাক। দোকানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখানেই থাকে টিসু েপপার, স্যানিটাইজ়ার, সাবান। নিজস্ব চিত্র
করোনার ত্রাসে কাঁপছে বিশ্ব। বাজারে দোকানে অমিল হতে শুরু করেছে মাস্ক, স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে টয়লেট পেপারও। চড়া দামে অনলাইনে বিকোচ্ছে যদিও বা, তা-ও ফুরিয়ে যাচ্ছে নিমেষেই। করোনা-আতঙ্কে দরকারি জিনিসপত্র মজুত করে রাখতে চাইছেন বেশির ভাগ মানুষই। ফলে দোকানের ভাঁড়ারে পড়ছে টান। আর এই ছবিটা সিঙ্গাপুর, জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন-সহ বহু দেশেই।
এই পরিস্থিতিতে ত্রেতাদের এই ধরনের পণ্য কেনার পরিমাণ বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটেনের অন্যতম খুচরো বিক্রেতা টেসকো। মঙ্গলবার থেকে খাবারদাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি নিয়ে কড়া হচ্ছে তারা।
গত কয়েক দিনে ওষুধের দোকান থেকে উধাও হাত পরিষ্কার করার স্যানিটাইজ়ার এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ওয়াইপস, এমনকি টয়লেট পেপারও। জিনিসপত্র মিলছে না বড় বড় সুপারমার্কেটগুলোতেও। টয়লেট পেপার কিনতে গিয়ে মারপিট পর্যন্ত করতে দেখা গিয়েছে মানুষকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই সব দৃশ্য। কস্টকো নামে একটি পাইকারি বিক্রির দোকানে দেখা গিয়েছে, ট্রলি ভর্তি করে টয়লেট পেপার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। কেউ আবার দোকানের ফাঁকা তাকের ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ‘টেসকো’র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল জেল থেকে, ওয়াইপস, স্প্রে, শুকনো পাস্তা, পাস্তুরাইজ়ড দুধ এবং বেশ কিছু প্যাকেটজাত আনাজ— পাঁচটির বেশি কিনতে পারবেন না এক জন ক্রেতা। একই নিয়ম খাটবে অনলাইন কেনাকাটার বেলাতেও।
ব্রিটেনের অন্য একটি সুপারমার্কেট সংস্থা ‘ওয়েটরোজ’ তাঁদের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল সাবান ও ওয়াইপ বিক্রিতে সাময়িক ভাবে রাশ টেনেছে। সেখানকার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রির সীমা বেঁধে দিয়েছে। জন প্রতি দু’টি করে স্যানিটাইজ়ার ধার্য করেছে তারা। ‘আসদা’ নামে আর একটি সংস্থাও একই রকমের নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছে।
ব্রিটেনের পরিবেশ, খাদ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের জেরে যাঁরা আলাদা আটকে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁরা যাতে সব রকম সাহায্য পান, তা নিশ্চিত করতে সুপারমার্কেটগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন পরিবেশ বিষয়ক সচিব জর্জ ইউস্টিস।
খুচরো বিক্রয়কারী দোকানগুলিতে চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শুধু জিনিসপত্র মজুত রাখার জন্যই কেনাকাটা সারছেন ব্রিটেনের দশ জন ক্রেতার মধ্যে অন্তত এক জন। করোনার বাজারে চড়া দামে স্যানিটাইজ়ার ও মাস্ক বিক্রি রুখতে ব্রিটেনের খুচরো বিক্রেতাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy