Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
Execution of a Woman

সাত দশক পরে মহিলার মৃত্যুদণ্ড মার্কিন মুলুকে

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ২০১৮-য় ফের সেই অধিকার পায় আঞ্চলিক আদালত। তার পর এই প্রথম কোনও মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।

ছবি সৌজন্যে: রয়টার্স।

ছবি সৌজন্যে: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৬
Share: Save:

৬৭ বছর পরে আবার। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে এক মার্কিন মহিলাকে।শেষ বার ১৯৫৩-য় শিশু চুরির দায়ে মিসৌরির এক গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল বনি হেডি নামের এক মার্কিন মহিলার। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে লিসা মন্টেগোমরি নামের এক মহিলার। এ বার বিষাক্ত ইঞ্জেকশন।শুধু খুন নয়, ২০০৪-এ এক অন্তঃসত্ত্বাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে তাঁর পেট কেটে গর্ভস্থ শিশু চুরির অপরাধে লিসাকে ২০০৭-এই দোষী সাব্যস্ত করেছিল পশ্চিম মিসৌরির জেলা আদালত। এমনকি মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিল। এত দিন তার ক্ষমাভিক্ষার আর্জি নিয়ে টালবাহানা চলছিল। শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মৃত্যুদণ্ডই বহাল থাকছে লিসার। ১৬ বছর আগেকার ওই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেন, ‘‘এমন ঘৃণ্য অপরাধের কথা শুনলে যে কোনও সুস্থ মানুষই শিউরে উঠবেন।’’

দীর্ঘদিন মৃত্যুদণ্ড বন্ধ ছিল আমেরিকায়। ১৯৭২-এ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলে, ফেডারেল কিংবা আঞ্চলিক আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করতে পারবে না। চার বছর পরে সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা লঘু করে বলা নয়, ফেডারেল আদালত এই সাজা শোনাতে পারবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ২০১৮-য় ফের সেই অধিকার পায় আঞ্চলিক আদালত। তার পর এই প্রথম কোনও মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।

মার্কিন বিচার বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সবিস্তার উল্লেখ করা হয়েছে ওই খুন এবং গর্ভস্থ শিশু চুরির কথা। ২০০৪-এ ওই ঘটনার সময়ে লিসার বয়স ছিল ২৩ বছর। নিজের গাড়ি করে ক্যানসাস থেকে মিসৌরির বাসিন্দা ববি জো স্টিনেটের বাড়িতে যায় লিসা। সূত্রের খবর, কুকুর কিনতে চেয়ে স্টিনেটের একটি অলনাইন বিজ্ঞাপন সূত্রেই তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায় লিসা।

আরও পড়ুন: ভারতের ভূমিকায় উদ্বেগ​

আরও পড়ুন: নেই নীলকণ্ঠ, ‘ব্লু জে’ এসে গল্প শোনায় উৎসব-শেষের​

ঘটনার দিন, বাড়িতে ঢুকেই সে আচমকা আক্রমণ করে বসে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্টিনেটকে। বিছানায় তাঁর গলা টিপে প্রথম শ্বাসরোধ করে খুন এবং পরে রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে স্টিনেটের পেট চিরে গর্ভস্থ শিশুকে বার করে চম্পট দেয় লিসা। পরে এই শিশুটিকে নিজের বলে চালানোর চেষ্টাও করে সে। লিসা শৈশবে যৌন হেনস্থার শিকার এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ— এই যুক্তিতে বারবার তার হয়ে ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি জানাচ্ছিলেন লিসার আইনজীবীরা। কিন্তু শেষমেশ তা ধোপে টিকল না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy